হু জিনতাও-এর বিদায়, চিনের দায়িত্বে জি জিনপিং
প্রত্যাশামতোই চিনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন হু জিনতাও। তাঁর উত্তরসূরি হচ্ছেন জি জিনপিং। অন্যদিকে চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন ওয়েন জিয়াবাও। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন লি কেকিয়াং। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ কংগ্রেসে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আজই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন চিনের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান এবং নেতারা।
প্রত্যাশামতোই চিনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন হু জিনতাও। তাঁর উত্তরসূরি হচ্ছেন জি জিনপিং। অন্যদিকে চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন ওয়েন জিয়াবাও। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন লি কেকিয়াং। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ কংগ্রেসে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আজই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন চিনের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান এবং নেতারা।
চিনের কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ পার্টি কংগ্রেস শুরু হয়েছিল গত ৮ নভেম্বর। শুরুতেই দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসে উপস্থিত প্রতিনিধিদের সামনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ করা না গেলে আগামিদিনে তা মারাত্মক চেহারা নেবে। তাঁর এই উদ্বেগের সূত্র ধরেই শুরু হয় পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া। বেজিংয়ের ঐতিহাসিক গ্রেট হলে প্রায় ২২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ৮ দিন ধরে চলে পার্টি কংগ্রেস। আর এই কংগ্রেসেই হু জিনতাওয়ের উত্তরসূরি হিসেবে উঠে আসেন জি জিনপিং। দশবছর দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন হু জিনতাও। তাঁর একাধিক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। কিন্তু, বিদায়ী প্রেসিডেন্টের বৈজ্ঞানিক দূরদর্শিতাকে সাদরে গ্রহণ করেছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। আর সেই কারণেই চিনের সংবিধানে জায়গা করে নিতে চলেছে সায়েন্টিফিক আউটলুক।
অন্যদিকে চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও সরে যাচ্ছেন ওয়েন জিয়াবাও। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন লি কেকিয়াং। জিনপিং এবং কেকিয়াং দুজনই চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন।
দলের সপ্তাহব্যাপী অষ্টাদশ পার্টি কংগ্রেসে ২০৫ জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যকে নির্বাচিত করেছেন প্রায় ২২০০ প্রতিনিধি। বৃহস্পতিবার নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি বেছে নেবে দলের পলিটব্যুরো সদস্যদের। ২৫ সদস্যের পলিটব্যুরোই ঠিক করে ৭ অথবা ৯ সদস্যের অতি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটিকে। এই কমিটিই চিনের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতির নীতি নির্ধারণের ভরকেন্দ্র। এই কমিটিতে থাকেন প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, চিনের সংসদের দুই কক্ষের প্রধান, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উপপ্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও থাকতে পারেন প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধানরা। প্রতি দশবছর অন্তর চিনের নেতৃত্ব বদল হয়। দশবছর আগে হু জিনতাওকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন জিয়াং জেমিন। এরপর তিনি মিলিটারি কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তবে, জিনতাও সম্ভবত সেপথে না হেঁটে পুরোপুরি অবসরগ্রহণেরই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। যদিও, চিনের সামরিকক্ষেত্রে আধিকারিক পর্যায়ে যে রদবদল হয়েছে তাতে অধিকাংশই জিনতাও ঘনিষ্ঠরা স্থান পেয়েছেন। নতুন প্রেসিডেন্ট হতে চলা জিনপিং-ও জিনতাও ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দায়িত্ব গ্রহণের পর কি জিনতাওয়ের দেখানো আর্থিকনীতির পথই অনুসরণ করবেন জিনপিং? চিনের পাশাপাশি সেদিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।