আইসিস-এর বিরুদ্ধে সরাসরি চূড়ান্ত যুদ্ধ ঘোষণা করল জর্ডন
ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস-এর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধ ঘোষণা করল জর্ডন। গত কাল পণবন্দী জর্ডনের পাইলটকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করে এই জঙ্গি সংগঠন। পুরনো কায়দাতেই নারকীয় হত্যালীলার সেই ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করে তারা। এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পরার পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় জর্ডন সরকার। তৎক্ষনাত বন্দী দুই আল কায়েদা জঙ্গিকে ফাঁসিতে চড়ায় জর্ডন সরকার। আজ আম্মানের তরফে জানানো হয়েছে ''যে কোনও অবস্থায় এই শয়তানকে (আইসিস) পরাস্ত করব।''
আম্মান: ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইসিস-এর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুদ্ধ ঘোষণা করল জর্ডন। গত কাল পণবন্দী জর্ডনের পাইলটকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করে এই জঙ্গি সংগঠন। পুরনো কায়দাতেই নারকীয় হত্যালীলার সেই ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করে তারা। এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পরার পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় জর্ডন সরকার। তৎক্ষনাত বন্দী দুই আল কায়েদা জঙ্গিকে ফাঁসিতে চড়ায় জর্ডন সরকার। আজ আম্মানের তরফে জানানো হয়েছে ''যে কোনও অবস্থায় এই শয়তানকে (আইসিস) পরাস্ত করব।''
মোজা আল-কাসাসবে নামে ওই পাইলটকে ডিসেম্বরে পণবন্দী করেছিল আইসিস জঙ্গিরা। আইসিস অধিকৃত এলাকায় এফ-ওয়ান ফাইটার ভেঙে পড়ার পরই তিনি আইসিসের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
পাইলটকে পুড়িয়ে মারার বিডিও প্রকাশের পরেই বুধধবার সকালে জর্ডনে ফাঁসি দেওয়া হয় দু'জনকে। দুজনের মধ্যে একজন আল কায়দার আত্মঘাতী স্কোয়াডের এক মহিলা সদস্য। এদের নাম সাজিদা- আল -রিশওয়াই ও জিয়াদ-আল-রিশওয়াই। আইএস প্রাক্তন এই আল কায়দা জঙ্গি সাজিদাকেই হাতে পেতে চাইছিল বলে সূত্রের খবর।
জর্ডনে বন্দি তাদের এই মহিলা জঙ্গিকে মুক্তির দিলে জাপানি সাংবাদিক কেনজি ইশিদোকে ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছিল ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা। কিন্তু পরে সেই সাংবাদিককে মেরে ফেলে ইসলামিক স্টেট। এরপর জর্ডন তাদের অপহৃত পাইলটকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ওই মহিলা জঙ্গিকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল।
২০০৫-এ জর্ডনের রাজধানী আম্মানে আল কায়দার আত্মঘাতী হানায় প্রাণ যায় অন্তত ৬০ জনের। হামলার মূল চক্রী হিসেবে অভিযুক্ত ইরাকের এক মহিলা সাজিদা-আল-রিশওয়াই।
সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য বর্তমানে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসের কবলে। জঙ্গিদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। রাস্তা, ঘাট, মসজিদ, কফিশপ কোনও কিছুই আর জঙ্গি হামলার কবল মুক্ত নয়। ইসলামের নামে ভয়াবহ সন্ত্রাসে উল্টো দিকে আস্তে আস্তে একত্রিত হচ্ছেন ওই অঞ্চলের সাধারণ মুসলিম নাগরিকরা।