Kim Jong Un: রাশিয়ায় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করলেন কিম জন উন! কেন এই সফর?
Kim Jong Un Enters Russia: এই প্রথমবার উত্তর কোরিয়ার কোনও প্রেসিডেন্ট রাশিয়ায় গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়া অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আতঙ্ক? প্রায় তাইই। বুলেটপ্রুফ ট্রেনে মোটামুটি দুদিনের জার্নি শেষে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ায় পৌঁছলেন। মঙ্গলবার সরকারি ভাবে এই তথ্য জানানো হয়। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কিম জং উনের নানা বিষয়ে আলোচনা হবে। ইউক্রেনযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মস্কোর সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র-চুক্তি না করার বিষয়ে ওয়াশিংটনের সতর্কতার মধ্যেই অবশ্য কিম জং উন রাশিয়া গেলেন।
জাপানের তরফে জানানো হয়েছে, কিম জং উনকে নিয়ে একটি ট্রেন উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য অঞ্চলের খাসান রেলস্টেশনে পৌঁছেছে। তবে ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উন কখন-কোথায় মুখোমুখি হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা এখনও স্পষ্ট করেনি ক্রেমলিন। এটুকু আভাস পাওয়া গিয়েছে, ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরাম যেখানে বসছে, পূর্ব রাশিয়ার সেই ভ্লাদিভস্তক শহরে তাঁরা মুখোমুখি হতে পারেন। এর আগে ২০১৯ সালে মুখোমখি হয়েছিলেন পুতিন ও কিম।
কিম গত রবিবার তাঁর ব্যক্তিগত বুলেটপ্রুফ ট্রেনে রাশিয়ার উদ্দেশে পিয়ংইয়ং ত্যাগ করেন। রাশিয়া সফরে কিম জং উনের সঙ্গে আছেন তাঁর দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আছেন উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রশিল্পের শীর্ষ কর্মকর্তারাও কিমের সঙ্গে আছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সফর হবে। দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: Great Wall of China: চিনের প্রাচীরে গর্ত করছিলেন দু'জনে! কেন এই ভয়ংকর কাজ করতে চাইছিলেন তাঁরা?
১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাশিয়ায় দু-দিন ব্যাপী ভ্লাদিভোস্টকে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরাম চলছে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের বিকাশের লক্ষ্যেই ২০১৫ সালে এই ফোরামের সূচনা করেন পুতিন। এই ফোরামে বক্তৃতা দেবেন পুতিনও। ফোরামে ৫০টি দেশের প্রতিনিধি-সহ প্রায় ৭ হাজার জন অংশ নেবেন। এর মধ্যে ভারতের প্রতিনিধিও থাকবেন।