নেই আর ধারণ ক্ষমতা, শরণার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করল মিউনিখও
শরণার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করল মিউনিখও। বিপুল মানুষের ঢলকে জায়গা দিতে তাঁরা অক্ষম বলে জানিয়ে দিয়েছে জার্মান প্রশাসন। শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া নিয়ে দ্বিধা এখনও কাটেনি ইউরোপীয় দেশগুলোর। তবে ভিটেমাটি হারানো মানুষগুলোর পাঁশে দাঁড়ানোর দাবি নিয়ে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করেও চলছে পাল্টা মিছিল।
ব্যুরো: শরণার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করল মিউনিখও। বিপুল মানুষের ঢলকে জায়গা দিতে তাঁরা অক্ষম বলে জানিয়ে দিয়েছে জার্মান প্রশাসন। শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া নিয়ে দ্বিধা এখনও কাটেনি ইউরোপীয় দেশগুলোর। তবে ভিটেমাটি হারানো মানুষগুলোর পাঁশে দাঁড়ানোর দাবি নিয়ে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করেও চলছে পাল্টা মিছিল।
শরনার্থী সঙ্কটে ধুঁকছে ইউরোপ। অনেকের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে বড় ঘরছাড়া মানুষের ঢল। কে দেবে আশ্রয়? ইউরোপ আগে থেকেই দ্বিধাবিভক্ত ছিল। দেশের ভেতের-বাইরে বিরোধিতা সত্বেও দরজা খুলেছিল জার্মানি।
মিউনিখে আছড়ে পড়েছিল ভিটেমানি হারানো মানুষের ঢল। শনিবারই জার্মানির ওই শহরে পৌছয় প্রায় সাড়ে বারো হাজার শরণার্থী। রবিবার মিউনিখের পুলিস প্রশাসন জানায়, বিপুল এই জনস্রোত শহরের ধারণ ক্ষমতা ছাপিয়ে গিয়েছে।
অর্থাত্, ঘরছাড়াদের একমাত্র আশার আলো মিউনিখের দরজাও এবার বন্ধ হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই রিফিউজিদের আটকাতে সার্বিয়া সীমান্তে বারোফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া তুলে দিয়েছে হাঙ্গেরি। সেই নিশ্ছিদ্র পাহাড়ার ফাঁক গলেই কোলের সন্তানকে নিয়ে কাঁটাতার পেরনোর চেষ্টা চালাচ্ছে ঘরছাড়া মা। সেই ভিডিও প্রকাশ হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
তাই প্রশাসন দরজা বন্ধ করলেও ঘরছাড়ারা পাশে পেয়েছেন ইউরোপের সাধারণ মানুষের একাংশকে।
যুদ্ধবিদ্ধস্ত পশ্চিম এশিয়ার ভিটেমাটি হারানো মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশের রাজধানী এবং বড় শহরগুলোয় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
লন্ডনে রিফিউজিদের আশ্রয় দেওয়ার দাবিতে পথ সভা করেন লেবার পার্টির নবনির্বাচিত নেতা জেরেমি করবিন।
হাতগুটিয়ে বসে নেই ইউরোপের শরনার্থী বিরোধী শিবিরও। রিফিউজিদের আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলিতে।