'শুধু করোনা নয়, অনাহারও প্রাণ নেয়,' লকডাউন শিথিলের দাবিতে স্লোগান উঠল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
ট্রাম্পের দ্রুত কাজে ফেরার বার্তাযুক্ত টুইটকেই হাতিয়ার করে পথে নেমেছিলেন তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ রুখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মেনে লকডাউনের পথেই হেঁটেছিল আমেরিকা। তবে কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মন্তব্য করেন, আমেরিকার বিপদ কেটে গেছে। এবার লকডাউন শিথিল করে ব্যবসা ও অর্থনীতির দিকে ঝোঁক দেওয়া হবে। এ বার ট্রাম্পের সমর্থনেই লকডাউন শিথিল করার দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলেন একদল ট্রাম্প সমর্থক আমেরিকাবাসী।
প্রায় ৪০০ আমেরিকাবাসী লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন নিউ হাম্পসায়ার। তাঁদের দাবি, যে সব স্টেট কম করোনা আক্রান্ত, সেখানে অপ্রয়োজনীয় লকডাউন বা কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ বর্ধিত করা যাবে না। নিউ হ্যাম্পসায়ারে কেউ কেউ পায়ে হেঁটে প্রতিবাদ দেখালেন তো কেউ কেউ গাড়িতে বসেই স্লোগান দিলেন। কয়েকজন আবার মার্কিন মিলিটারির বেশেও রাজপথে নেমে এসে প্রতিবাদ দেখালেন। আমেরিকার অন্যতম ব্যস্ততম স্টেট টেক্সাসে ২৫০ জনরেও বেশি মানুষ রাজধানী অষ্টিনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করলেন। যাদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন রেডিয়ো হোস্ট আলেক্স জোনস ছাড়াও বহু নামজাদা ব্যক্তি।
"এই সময় ফের টেক্সাসকে সচল করার সময়। এই সময় কাজে যোগদানের সময়"-এই স্লোগান শোনা গেল জাস্টিন গ্রেইস নামে এক যুবকের গলায়। গাড়িতে বসেই কেউ কেউ প্রতিবাদ করে জানালেন শুধুমাত্র করোনা প্রাণ নেয় না অনাহারও নেয়। ডোলোরেস নামে এক মহিলা কাতর হয়ে বললেন, "আমার ব্যবসা ছিল। আমাকে বাঁচতে হলে কাজ করতে হবে,না হলে মরতে হবে।"
কাজে ফেরার উদ্দেশ্যে প্রতিবাদে সামিল হলেন কয়েকশো আমেরিকাবাসী। ট্রাম্পের দ্রুত কাজে ফেরার বার্তাযুক্ত টুইটকেই হাতিয়ার করে পথে নেমেছিলেন তাঁরা। স্লোগান উঠল "রি-ওপেন নিউ হ্যাম্পসায়ার" ও "দ্য নাম্বারস লায়।" হয় মুক্তভাবে বাঁচতে দাও নাহলে মরব। কাজে না ফিরলে অনাহারে মরতে হবে। তাই এমনই প্রতিবাদের ভাষা তুলে রাস্তায় নামল হ্যাম্পসায়ার থেকে টেক্সাস। রাস্তায় নেমে অনেকে মুক্ত দেশেরও ডাক দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই মিচিগানের রাজধানী ল্যান্সিংয়ে বুধবার রাস্তায় নেমে "স্টে এট হোম" আইনের প্রতিবাদ করেছিলেন কয়েকজন। ট্রাম্প বারবার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বললেও পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বারবার পিছিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও করোনা সংক্রমণকে রোখার উদ্দেশ্যে লকডাউন কাটিয়ে ওঠার সাহস দেখাতে পারেননি তিনি। কিন্তু রাজপথে এই প্রতিবাদ কী ত্বরান্বিত করবে সেই সিদ্ধান্তকে। জল্পনা তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: খাবার নেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু শহরে ফুড ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন বেকার-ক্ষুধার্থ মানুষের