ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা! মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে তৈরি হচ্ছে প্রথম হিন্দু মন্দির
পাকিস্তান এবং চীন যুযুধান দুই পক্ষকে কূটনৈতিকভাবে চাপে রাখতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সচেষ্ট ভারত। এই পরিস্থিতিতে কী ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী? কিছুদিন আগেই পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণও ফেরত চেয়েছে ইউএই, এমনকি ৩৭০ ধারা রদের ক্ষেত্রেও ভারতকে সমর্থনই করেছিল তারা। আরব আমিরশাহীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ভারত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তান এবং চিনকে কূটনৈতিকভাবে চাপে রাখতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সচেষ্ট ভারত। এমন পরিস্থিতিতে কি ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী? কারণ আবুধাবিতে তৈরি হচ্ছে আমিরশাহীর প্রথম হিন্দু মন্দির। মন্দিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এখনও না হলেও আংশিকভাবে চালু হয়ে গেছে মন্দির। অক্টোবর মাসে জমকালোভাবে উদ্বোধন হওয়ার কথা। ভারতের বিদেশমন্ত্রীও পরিদর্শন করে এসেছেন আবুধাবির মন্দিরটি। এটি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে না কোনও লোহা। বেলে পাথর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে আবুধাবির এই মন্দিরটি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই মন্দিরটির শিলান্যাস করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
সুবিশাল এই মন্দিরে রয়েছে ১৬ দেবতার মূর্তি। ৯ দিনের বিশেষ পূজাপাঠের মাধ্যমে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মূর্তিগুলির। এমনকি আগস্টের শেষদিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শিখদের ধর্মগ্রন্থ ‘গ্রন্থসাহেব।’ আরব আমিরশাহীতে বসবাস করেন প্রায় ৩০ লক্ষ ভারতীয়। স্বভাবতই সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকারের এই সিদ্ধান্তে তারা খুশি। জানা গেছে মন্দিরটি তৈরিতে লেগেছে প্রায় ২২৫০ টন পাথর। কিছুদিন আগেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইট করে প্রশংসা করেছেন মন্দিরটির। তিনি জানিয়েছেন মন্দির সংলগ্ন এলাকার প্রতিটি ভারতীয় আমিরশাহী সরকারের এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট আনন্দিত। মন্দিরটি নির্মাণের জন্য জয়শঙ্কর ধন্যবাদ জানিয়েছেন মন্ত্রী শেখ নাহিয়ান বিন মোবারককে। প্রায় ৫৫হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হচ্ছে মন্দিরটি।
জেবেল আলি গ্রামে তৈরি হয়েছে এই মন্দির। তবে শুধু এই হিন্দু মন্দির নয়, এর আগেও জেবেল গ্রামে তৈরি হয়েছে বহু গির্জা। কোভিডকালে দর্শনার্থীদের ভিড় এড়াতেও মন্দির চত্বরে ছিল উপযুক্ত ব্যবস্থা। বর্তমানে প্রায় ১৪ জন পুরোহিত যুক্ত আছেন ওই মন্দিরের সঙ্গে। সকাল ৭টা থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত চলছে মন্দিরের কার্যক্রম। আরব আমিরশাহীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ভারত। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যায় কূটনৈতিকভাবে ভারতেরও হাত ধরতে চাইছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণও ফেরত চেয়েছে ইউএই, এমনকি ৩৭০ ধারা রদের ক্ষেত্রেও ভারতকে সমর্থনই করেছিল তারা। সুতরাং আরব আমিরশাহীর এই পদক্ষেপের একদিকে যেমন খুশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রবাসী ভারতীয়রা তেমনি মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির কারণে কিছুটা হলেও চিন্তামুক্ত হতে পারবে ভারতের কূটনৈতিক মহল।