আন্দোলনে প্রাণহানি, ক্ষমা চাইল মিশরের সেনা পরিষদ

প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে পড়ে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভ-সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে ক্ষমা চাইল মিশরের অন্তর্বর্তী সামরিক প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দেশের সেনা পরিষদের পক্ষে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাঁরা নিহত হয়েছে তারা সবাই দেশপ্রেমিক এবং জাতির সুসন্তান।

Updated By: Nov 24, 2011, 04:27 PM IST

প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে পড়ে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভ-সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে ক্ষমা চাইল মিশরের অন্তর্বর্তী সামরিক প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দেশের সেনা পরিষদের পক্ষে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যাঁরা নিহত হয়েছে তারা সবাই দেশপ্রেমিক এবং জাতির সুসন্তান। তবে পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের তাহরির স্কোয়্যার খালি করারও নির্দেশ দিয়েছে সেনা সরকার।
গত শনিবার থেকে ক্ষমতাসীন সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিল বিরোধী আন্দোলনে এখনও পর্যন্ত রাজধানী কায়রো-সহ বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিক্ষোভ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সেনা শাসকেরা দ্রুত বেসামরিক নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেও আন্দোলনকারীরা কোনো কালক্ষেপ না করেই সেনা শাসন অবসানের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার সামরিক পরিষদের প্রধান হুসেইন তান্তাওয়াই জানান, আগামী বছরের জুলাই মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ করে ক্ষমতা অসামরিক প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাব খারিজ করেন আন্দোলনকারীরা। সেনা কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দাবিও নাকচ করা হয়। এই পরিস্থিতিতে মাত্র তিনদিন পর, আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ১৮ দিনের আন্দোলনে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক। সে সময় তাহরির স্কোয়্যার আন্দোলনে অংশ নেওয়া জনতার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মনে করছে, স্বেচ্ছাচারী হোসনি মুবারকের পতন ঘটলেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। সামরিক শাসনযন্ত্রের চাপ মুক্ত গণতান্ত্রিক বাতাবরণ স্থাপনের পথে অন্তরায় হয়ে উঠেছে।

.