আজানে শব্দদূষণ! হোয়াটসঅ্যাপ করে জানাতে চান অনেক ইমাম
ঘানার রাজধানী আক্কর এমনিতেই জমজমাট, কোলাহলপূর্ণ। আক্করে যেসব মসজিদ এবং গির্জা রয়েছে, তাদের মাইকের ঘোষণায় মাত্রারিক্ত শব্দদূষণ হচ্ছে বলে মনে করছেন সেখানকার অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজানে শব্দদূষণ! তাই হোয়াটসঅ্যাপের দ্বারস্থ ঘানার মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ। মসজিদে নামাজ পড়তে মাইকে না ঘোষণা করে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজে জানানোর পরিকল্পনা করছে ঘানা সরকার। শব্দদূষণ রোধ করতে এমন অভিনব পরিকল্পনার কথা ভাবছে সে দেশের সরকার।
আরও পড়ুন- তীর্থযাত্রী কাণ্ডে ভারতকে পাল্টা কটাক্ষ ইসলামাবাদের
ঘানার রাজধানী আক্কর এমনিতেই জমজমাট, কোলাহলপূর্ণ। আক্করে যেসব মসজিদ এবং গির্জা রয়েছে, তাদের মাইকের ঘোষণায় মাত্রারিক্ত শব্দদূষণ হচ্ছে বলে মনে করছেন সেখানকার অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মানুষ। এই শব্দদূষণ থেকে বাঁচতে তাঁরা দ্বারস্থ হন হোয়াটসঅ্যাপের। ঘানার পরিবেশ মন্ত্রী কবেনা ফার্মপং-বোটেং জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজে প্রার্থনার জন্য ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ডাকা যেতে পারে। এতে ইমামের খাটুনিও কম হবে। যদিও কবেনা স্বীকার করে নিচ্ছেন এই সিদ্ধান্তে বিতর্কও তৈরি হতে পারে।
কেমন বিতর্ক?
আরও পড়ুন- আলোচনাই ভারত-পাক সংঘাত মেটানোর একমাত্র রাস্তা, সুর বদল পাক সেনা প্রধানের
ফাদামা সম্প্রদায়ের ইমাম শেখ উসান আহমেদ দিনে পাঁচ বার আজান করেন। তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্ত মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। কারণ, অনেকেই অশিক্ষিত মানুষ এখনও মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন না। তবে, ইমাম এও স্বীকার করেছেন, এই সিদ্ধান্ত নিলে শব্দদূষণ কমতে পারে।