Nepali Youth into Russian Forces: কীসের লোভে নেপালি তরুণরা পুতিনের হয়ে অস্ত্র ধরতে ছুটছে জানেন?
Nepali Youths’ Entry into Russian Forces: দলে দলে নেপালি তরুণরা এখন রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রমুখী!রাশিয়ায় অবস্থিত নেপালি দূতাবাস অবশ্য বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি। কিন্তু তলায় তলায় কী ঘটেছে?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিদেশি তরুণদের সেনাবাহিনীতে কাজে লাগানোর জন্য স্বাভাবিক ভাবেই টোপ দিয়েছে রাশিয়া। কেননা, যুদ্ধ তো চালিয়ে যেতে হবে! প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ভ্লাদিমির পুতিনের টোপ অনেক দেশই গিলেছে। গিলেছে নেপালও। নেপাল থেকে গত এক বছরে বহু তরুণ রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। ইউক্রেনের সঙ্গে তাদের কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু পুতিনের হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছেন তাঁরা।
কেন করছেন? এ যুদ্ধে নেপালিদের লাভ কী?
লাভ আছে বইকি! এ তো আর নিজের দেশের জন্য সব ছেড়ে আত্মবলিদান দেওয়া নয়। এ অনেকটা ভালো প্যাকেজ পেয়ে এক কোম্পানি ছেড়ে ভিন্ন কোম্পানিতে কাজে যোগ দেওয়ার মতো ব্যাপার। জানা গিয়েছে, পুতিন তাঁর দেশের হয়ে যুদ্ধের জন্য বিদেশিদের যে-প্যাকেজ দিচ্ছেন তা যথেষ্ট লোভনীয়।
কী দিচ্ছেন পুতিন?
রাশিয়া জানিয়েছে, রুশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে এক বছর যুদ্ধ করলেই সপরিবারে রাশিয়ায় থাকার সুযোগ মিলবে বিদেশিদের। রাশিয়ার স্থায়ী নাগরিকত্বও পাবেন তাঁরা। কাজে যোগ দেওয়ার পরে মোটা অঙ্কের বেতন তো রয়েছেই। বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময়েও ছিল মোটা বেতনের হাতছানি!
আরও পড়ুন: Yevgeny Prigozhin: 'পিঠে ছুরি-মারা' ইয়েভগেনিকে কি ক্ষমা করবেন পুতিন? নাকি প্রতিশোধের...
এমন প্যাকেজর আকর্ষণ এড়াতে পারেনি নেপালের তরুণ প্রজন্ম। অনেকেই স্বদেশ ছেড়ে রাশিয়ায় চলে গিয়েছেন। এর মধ্যে যেসব নেপালি ইতিমধ্যেই রাশিয়ায় ছিলেন তাঁরাও সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। রুশ বাহিনীতে যোগ দিতে গেলে ভাষার বাধা একটি ছিল। প্রথম দিকে নেপালিদের রাশিয়ান ভাষা শিখতে বলা হলেও পরে সেই নিয়ম শিথিল করা হয়। শুধু ইংরেজি জানলেই রাশিয়ান সেনায় যোগ দেওয়া যাচ্ছে। অতঃপর! দলে দলে নেপালি তরুণরা এখন রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রমুখী!রাশিয়ায় অবস্থিত নেপালি দূতাবাস অবশ্য বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি।