India Bangladesh Trade Agreement: নয়া বাণিজ্যিক চুক্তিতে স্বাক্ষর দিল্লি ও ঢাকার
ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
সেলিম রেজা, বাংলাদেশ: ভারতের সঙ্গে ২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চুক্তি (Trade Agreement Between India and Banglades) বাংলাদেশের। ভারত- বাংলাদেশের যৌথ পর্যালোচনা চালুর কারণে করোনাভাইরাস অতিমারির মধ্যেও গতি পেয়েছে ভারতীয় এলওসিভুক্ত (লাইন অব ক্রেডিট) প্রকল্পের অধীনে ঋণের অর্থছাড়ের পরিমাণ। এরই মধ্যে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থছাড় হয়েছে।
এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ভারত- বাংলাদেশ। অনেক সময় ভিসা-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ভারতীয় প্রতিনিধিদের প্রকল্প এলাকায় আসতে নানা ধরণের সমস্যা হয়। তাই এবার ভিসা দেওয়ার পদ্ধতি সরলীকরণ- সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভারতীয় নমনীয় ঋণের (এলওসি) আওতায় গৃহীত প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার লক্ষ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ পর্যায়ের প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। সভায় ভিসা সরলীকরণ বিষয়টি ওঠে আসে।
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: বাইডেন বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছেন, মত রাজনৈতিক মহলের
এই সভায় যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থ বিভাগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং ভারতীয় পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন ও এক্সিম ব্যাংক ভারতের কর্মকর্তারাও।
আরও পড়ুন: সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন Imran Khan, PTI-র সঙ্গ ছাড়ল MQM-P; সমর্থন করবে অনাস্থা প্রস্তাব
সভায় প্রকল্প বাস্তবায়ণকারী কর্তৃপক্ষের জন্য ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের বিভিন্ন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা করা হয়। এছাড়া দ্রুত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুতকরণ, দরপত্রের শর্তাবলী যৌক্তিকীকরণ, অর্থছাড়ের প্রক্রিয়া সহজীকরণ, দ্রুততম সময়ে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন এবং প্রকল্পগুলোর সঙ্গে জড়িতদের অনুকূলে ভিসা দেওয়ার পদ্ধতি সরলীকরণ-সহ এলওসি'র অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়। এসব বিষয়গুলো দ্রুত বাস্তবায়ণ করলে প্রকল্পে ভারতীয় ঋণ দ্রুত ছাড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দ্রুচ ঋণ ছাড় হলে প্রকল্পে গতিও পাবে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।