'ভাইজান'-এর অপেক্ষায় বসে থাকা গীতাকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হল না
রাখী বন্ধন উত্সবে গীতাকে পরিবারে সঙ্গে দেখা করতে দিল না করাচির ইধি ফাউন্ডেশন। গত শনিবার ইধি ফাউন্ডেশনকে অনুরোধ করেছিলেন মমিন মালিক।
ওয়েব ডেস্ক: রাখী বন্ধন উত্সবে গীতাকে পরিবারে সঙ্গে দেখা করতে দিল না করাচির ইধি ফাউন্ডেশন। গত শনিবার ইধি ফাউন্ডেশনকে অনুরোধ করেছিলেন মমিন মালিক।
গল্প হলেও সত্যি। পানিপথ শহরের এক সাধারণ উকিল মমিন মালিক এই মুহূর্তে বজরঙ্গি ভাইজানের সলমন খান। আর ছোট্ট গুড্ডির ভূমিকায় ২৩ বছরের মুখ-বধির গীতা। গীতাকে পরিবারে সঙ্গে মেলানোর জন্য করাচি এনজিও সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন মমিন মালিক।
'বজরঙ্গি ভাইজান' মুক্তি পাওয়ার পর গীতার খবর শিরোনামে উঠে আসে। ইধি ফাউন্ডেশন নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় গীতা বারো বছর ধরে রয়েছেন।
এখন প্রশ্ন করাচিতে কীভাবে এলেন তিনি? গীতা যখন ১১ বছর বয়স সে বর্ডার পেরিয়ে চলে আসে পাকিস্তানে। এরপর পাকিস্তানি রেঞ্জার তাঁকে গ্রেফতার করে করাচির নামকরা এনজিও ইধি ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেয়। নেই কোনও খোঁজখবর। নেই কোনও যোগাযোগ। মা,বাবা, পরিবার সবকিছু হারিয়ে বারো বছর ধরে রয়েছেন মুখ-বধির গীতা।
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই মমিন মালিক দায়িত্ব নেন গীতাকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার। করাচিতে গিয়ে দেখা করেন ইধি ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। রাখী বন্ধন উত্সবে গীতাকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে মেলানোর জন্য অনুরোধ করেন কতৃপক্ষকে। কিন্তু গীতার সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি ইধি ফাউন্ডেশন।
তবে হার মানেননি মমিন। পাকিস্তানেই তিনি আইনি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত নেন। এখন দেখার সেলুলয়ডে সলমন পেরেছেন, মমিন পারবেন গীতাকে মেলাতে পরিবারের সঙ্গে?