হিংস্র সারমেয় নয় ব্রিটেনের বাড়িতে

কুকুর পোষা নিয়ে এবার আরও সচেতন হতে হবে ব্রিটেনবাসীকে। ইচ্ছে হলেই এখন থেকে আর হিংস্র প্রজাতির সারমেয়কে বাড়ির পোষ্য করে রাখা যাবে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছে ডেভিড ক্যামেরন প্রশাসন। ব্রিটেনের এক চতুর্থাংশ পরিবারেই অন্তত একটি করে পোষ্য রয়েছে সারমেয়। প্রভুভক্তি বা বাড়ি পাহারা দেওয়ার ক্ষমতার প্রতি ভরসা করে না, অধিকাংশ পরিবারই নিছক ভালোবাসার টানেই আপন করে নিয়েছে এই সারমেয়দের।

Updated By: Jul 7, 2013, 09:31 PM IST

কুকুর পোষা নিয়ে এবার আরও সচেতন হতে হবে ব্রিটেনবাসীকে। ইচ্ছে হলেই এখন থেকে আর হিংস্র প্রজাতির সারমেয়কে বাড়ির পোষ্য করে রাখা যাবে না। এমনই নির্দেশ দিয়েছে ডেভিড ক্যামেরন প্রশাসন। ব্রিটেনের এক চতুর্থাংশ পরিবারেই অন্তত একটি করে পোষ্য রয়েছে সারমেয়। প্রভুভক্তি বা বাড়ি পাহারা দেওয়ার ক্ষমতার প্রতি ভরসা করে না, অধিকাংশ পরিবারই নিছক ভালোবাসার টানেই আপন করে নিয়েছে এই সারমেয়দের। কিন্তু, এখন থেকে একটু সচেতন হতে হবে সারমেয়প্রেমী ব্রিটিশদের। কারণ, কঠিন হয়েছে আইন। মনে হলেই আর এখন থেকে হিংস্র প্রজাতির কুকুরকে বাড়ির পোষ্য করতে পারবেন না তারা। এই মর্মে জারি হয়েছে নির্দেশিকাও। চারটি প্রজাতির কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে দিয়েছে প্রশাসন।
পিট বুল টেরিয়ার, জাপানিজ টোসোস, ডোগো আর্জেন্তিনোজ এবং ফাইলা ব্রাসিনিরোজ। এই চারটি প্রজাতিকে গৃহপালিতের তালিকে থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। নিয়ম ভেঙে এই প্রজাতির কুকুর পুষলে পুলিস পোষ্যকে বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। কুকুরটি হিংস্র নয় বলে প্রমাণিত হলে, তারপর সেটিকে ফেরত দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্য লাইগেশন করানো হবে সারমেয়র। এমনকী, কুকুরের মালিককে একটি সুরক্ষা বিমাও কিনতে হবে। তবে, কুকুরের হিংস্র হয়ে ওঠার জন্য মূলত তার মালিককেই দায়ী করা হবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না পেলে অন্য যেকোনও প্রজাতির কুকুরও হিংস্র স্বভাবের হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করে ব্রিটেনের প্রশাসন। সবমিলিয়ে এবার আর শুধু শখ হলেই একটি কুকুরশাবককে বাড়ি আনার আগে ভাবতে হবে ব্রিটেনবাসীকে।

.