প্রতিষেধক ছাড়া অসম্ভব করোনা রোখা, সাফ জানাল রাষ্ট্রসঙ্ঘ
বুধবার আফ্রিকার ৫০টি সদস্য দেশের সঙ্গে ভিডিয়ো আলোচনায় এমন মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে মৃত্যুমিছিল বন্ধ করতে এবং বিশ্বে স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর একমাত্র উপায় করোনার প্রতিষেধক। প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভাবেই পৃথিবীকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানো সম্ভব নয়। এমনটাই মনে করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুটেরেস । তিনি বলেছেন, "একমাত্র ফলপ্রসূ ও নিরাপদ টিকা আবিষ্কার হলেই রোখা সম্ভব এই বিশ্বমারি। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রতিষেধকই একমাত্র উপায়। প্রতিষেধক আবিস্কার হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচবে, আর হাজার হাজার কোটি অর্থ বাঁচবে।"
বুধবার আফ্রিকার ৫০টি সদস্য দেশের সঙ্গে ভিডিয়ো আলোচনায় এমন মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। গুটেরেস এ-ও বলেছেন, "বিশ্বের সব দেশের রাষ্ট্রনেতা, শিল্পপতিরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসলে করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে জেতা সম্ভব। ২০২০ সালের মধ্যেই যদি এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়, তবে মারণ সংক্রমণ এবং আর্থিক ক্ষতি থেকে বিশ্বকে বাঁচানো যাবে। ফিরে আসবে সুস্থ অর্থনৈতিক পরিকাঠামো।
আরও পড়ুন- দুঃস্থ মানুষদের জন্য চালু হয়েছে চালের এটিএম, গরীবের খাবার জুটছে দুবেলা
গুটেরেস ২৫ মার্চ ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের জন্য আবেদন করেছিলেন। যার মাত্র ২০ শতাংশ এখনও পর্যন্ত তহবিলে জমা পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাহায্যে আফ্রিকার ৪৭টি দেশে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। রাস্ট্রসংঘের মহাসচিব করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রশংসাও করেছেন। তিনি জানিয়েছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নামিবিয়া রোজগারহীনদের জন্য আয়ের পথ খুলে দিয়েছে। কেপ ভারদে খাদ্যাভাব মিটিয়েছে এবং মিশর শুল্ক কমিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে অনুদান বন্ধ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ, হু-কে চিনের থেকে বেশি অর্থ সাহায্য করে আমেরিকা। কিন্তু চিনকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। এই অভিযোগ এনে মোটা অঙ্কের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়ও বইছে। অভিযোগ, বিশ্বকে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিল আমেরিকা।