গান্ধীজীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ ছিলেন লাদেন, বলছে অডিও টেপ
গান্ধী ভক্ত ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। ১৯৯৩ সালে রেকর্ড করা একটি অডিও টেপে লাদেনের গলায় শোনা গিয়েছে এমনই কথা। যেখানে লাদেন বলছেন গান্ধীজীর থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মার্কিনি দ্রব্য বর্জন করতে। বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে এভাবেই স্বাদেশী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন গান্ধীজী।
ওয়েব ডেস্ক: গান্ধী ভক্ত ছিলেন ওসামা বিন লাদেন। ১৯৯৩ সালে রেকর্ড করা একটি অডিও টেপে লাদেনের গলায় শোনা গিয়েছে এমনই কথা। যেখানে লাদেন বলছেন গান্ধীজীর থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মার্কিনি দ্রব্য বর্জন করতে। বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে এভাবেই স্বাদেশী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন গান্ধীজী।
২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর খান্দাহার ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয় লাদনকে। ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি খান্দাহারেই ছিলেন। তালিবানের বিদেশ মন্ত্রক সহ বেশি কিছু জায়গায় তল্লাসি চালিয়ে ১,৫০০ ক্যাসেট উদ্ধার হয়েছিল সেইসময়। আফগান পরিবারের থেকে ক্যাসেটের দোকান ঘুরে তা এসেছিল সিএনএনের ক্যামেরাম্যানের হাতেও। অবশেষে যা এসে পৌছোয় ম্যাসাচুসেটসের উইলিয়াম কলেজের আফগান মিডিয়া প্রজেক্টে। আরবি ভাষায় দক্ষ ফ্ল্যাগ মিলার উদ্ধার করেন লাদেনের বক্তব্যের মর্মার্থ।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার এক দশকেরও বেশি সময় পর দ্য অডাশিয়াস এসকেটিক নামের বইতে সেই ক্যাসেটের প্রসঙ্গেই লিখেছেন মিলার। ১৯৬০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছিল এইসব অডিও টেপ। প্রায় ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির কণ্ঠস্বর রয়েছে এই টেপে। তার মধ্যে রয়েছে লাদেনের কণ্ঠস্বরও। ১৯৮৭ সালের টেপে প্রথম শোনা গিয়েছে লাদেনের কণ্ঠস্বর। যেখানে আফগান-আরব মুজাহিদিন ও সোভিয়েত স্পেতনাত্জ কমান্ডোর ব্যাপারে বলছেন তিনি।
১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি টেপে অপ্রত্যাশিত ভাবে তার মুখে শোনা গিয়েছে মহাত্মা গান্ধীর নাম। এই টেপেই নিজের সমর্থকদের মার্কিনি দ্রব্য বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন লাদেন। বলেছেন, "গ্রেট ব্রিটেনের কথা ভাবুন, এত বড় দেশ যে সূর্য কখনই অস্ত যায় না সেই দেশে। সেই ব্রিটেন তার বৃহত্তম উপনিবেশ ভারত থেকে বিদেশি দ্রব্য তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল যখন গান্ধীজী স্বদেশী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। আমাদেরও আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমনটাই করা উচিত্।" ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত রেকর্ডে সন্ত্রাসের কোনও উল্লেখ করেননি লাদেন। ১৯৯৬ সালে সুদান ছেড়ে চলে আসার পর থেকে তার বক্তব্যে পরিবর্তন আসে।
এতগুলো টেপের ৯/১১ সম্পর্কে মাত্র একবারই শোনা গিয়েছে। হামলার কিছুদিন আগে ওসামার দেহরক্ষী উমরের বিয়ে উপলক্ষ্যে রেকর্ড করা টেপে লাদেন বলেছেন এক পরিকল্পনার কথা। যদিও, বিশেষ কিছু তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখ থেকে মিলারের ধারণা ৯/১১ হামলার প্রসঙ্গেই বলেছেন লাদেন।
২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের আবোতাবাদে মার্কিন নেভির হাতে খুন হন ওসামা বিন লাদেন।