আদালত অবমাননার দায়ে ফের সমন, সঙ্কটে গিলানি

ঘোর বিপাকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। এমনকী পরিস্থিতি এতটাই ঘোরতর যে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়াতেও হতে পারে তাঁকে। আদালত অবমাননার অভিযোগে গিলানিকে অভিযুক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধানমন্ত্রীকে ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমনও পাঠিয়েছে বেঞ্চ। সেদিনই গিলানির বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Updated By: Feb 2, 2012, 04:04 PM IST

ঘোর বিপাকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। এমনকী পরিস্থিতি এতটাই ঘোরতর যে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়াতেও হতে পারে তাঁকে। আদালত অবমাননার অভিযোগে গিলানিকে অভিযুক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধানমন্ত্রীকে ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমনও পাঠিয়েছে বেঞ্চ। সেদিনই গিলানির বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
পরভেজ মুশারফ জমানার বিতর্কিত ন্যাশানাল রিকন্সিলিয়েশান অর্ডিন্যান্স (এনআরও) বাতিল করে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা ফের চালু করার জন্য পাক সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে। কিন্তু জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা শুরু না-করায় গিলানিকে আদালত অবমাননার নোটিস দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই নতুন কৌশল নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে তিনি সাফাই দেন, সংবিধানের ২৪৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। সেই কারণে তিনি মামলা নতুন করে শুরু করতে পারেননি।

কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর এই ব্যাখা সন্তুষ্ট করতে পারল না পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতকে। বৃহস্পতিবার গিলানিকে আদালত অবমাননার জন্য অভিযুক্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি গিলানিকে আদালতে হাজির হওয়ার সমন পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। ৭ সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে নিজের বক্তব্য জানাতে পারেন গিলানি।
মনে করা হচ্ছে, ওই দিন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা হতে পারে। শাস্তির ফলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসৃত হতে পারেন ইউসুফ রাজা গিলানি। অথবা তাঁর জেল হতে পারে। তবে সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে গিলানির হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী এতজাজ এহসান। তবে গিলানির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট সমন জারি করলেও বিষয়টি খানিক লঘু করেই দেখিয়েছেন এতজাজ এহসান। তিনি বলেছেন পাকিস্তানের ইতিহাসে এর আগেও চার প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী যাই সাফাই দিন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ফের নতুন করে সঙ্কট তৈরি হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

.