চাপে পড়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ প্রসঙ্গে মুখ খুলল পাকিস্তান
পুলওয়ামা হামলার পর মাসুদকে নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হলে সে বারও ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ দেখিয়ে ভেটো প্রয়োগ করে চিন। যদিও ভারতের পাশে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স আন্তর্জাতিক মহলে বেজিংকে চাপে রাখে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কার্যত চাপে পড়েই মুখ খুলল পাকিস্তান। মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি চিহ্নিত করার পর পাক-বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়, দ্রুত মাসুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জঙ্গির নিয়ম কার্যকর করা হবে। যদিও রাষ্ট্র সঙ্ঘের এই পদক্ষেপে ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য স্বীকার করতে নারাজ ইমরান খানের সরকার। সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল দাবি করেন, এই সিদ্ধান্তের পিছনের বিশ্বের অনেক দেশের ভূমিকা রয়েছে।
নতি স্বীকার করেও ভারতের সমালোচনা করতে ছাড়েনি পাকিস্তান। এ দিন ফয়জল বলেন, “পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই কারণে কাশ্মীরে ভারত নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে এসেছে ইসলামাবাদ।” মাসুদে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার পিছনে দীর্ঘ লড়াই রয়েছে ভারতে। ২০০৯ সাল থেকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে নয়া দিল্লি মাসুদে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার দাবি জানিয়ে এসেছে। ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং আমেরিকা ভারতের পাশে থাকলেও এই পদক্ষেপে চিন বরাবারই বিরোধিতা জানিয়েছে। মোট চার বার ভিটো প্রয়োগ করে বেজিং।
পুলওয়ামা হামলার পর মাসুদকে নিয়ে জোর সমালোচনা শুরু হলে সে বারও ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ দেখিয়ে ভেটো প্রয়োগ করে চিন। যদিও ভারতের পাশে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স আন্তর্জাতিক মহলে বেজিংকে চাপে রাখে। বাধ্য হয়ে বেজিংকে বিবৃতি দিয়ে বলতে হয়, দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ করতে চলেছে তারা। গত বুধবার চিন জানায়, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা এবং নথি খতিয়ে দেখে মাসুদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মেনে নিতে তাদের অসুবিধা নেই।
আরও পড়ুন- জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহ কারাবাসের সাজা শোনাল ব্রিটেনের আদালত
উল্লেখ্য, সম্প্রতিকালে পুলওয়ামা হামলার পাশাপাশি পাঠানকোট, উরি হামলা, সংসদ হামলা-সহ একধাকি নাশকতায় নাম রয়েছে মাসুদ আজহারের সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। ২০০১ সালে ওই সংগঠনকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেয় আমেরিকা। চাপে পরে পরের বছরেই ওই জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তান। যদি আইএস (পাক গোয়েন্দা সংস্থা) মদত পুষ্ট ওই জঙ্গি সংগঠন বিভিন্ন নাম ভাঁড়িয়ে নাশকতা কার্যকলাপ চালিয়ে যায় মাসুদ আজহার।