আকাশপথের পর এবার সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করল পাকিস্তান

আজ এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক থেকে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কাশ্মীর সমস্যা সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

Updated By: Aug 8, 2019, 02:42 PM IST
আকাশপথের পর এবার সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করল পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদন : কাশ্মীর ইস্যুতে ফের উস্কানি পাকিস্তানের। এবার সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ইসলামাবাদ। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা ও ৩৫এ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই পাকিস্তানের তরফে লাগাতার উস্কানি অব্যাহত। মোদী সরকারের ৩৭০ ধারা বিলোপ ও কাশ্মীর রাজ্যকে ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় পাক সরকার। আর তারপরই থেকেই শুরু হয় একের পর এক উস্কানি দেওয়ার পালা।

প্রথমে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপরই পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়াকে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেয় ইসলামাবাদ। গতকাল জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই বৈঠকেই ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি ভারতে নব নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত মইন-উল-হককে না পাঠানোর কথাও ঘোষণা করা হয়। একইসঙ্গে বিসারিয়াকে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর রাতে পাকিস্তানের আকাশপথও আংশিক বন্ধের কথা ঘোষণা করা হয়।

সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। উল্লেখ্য, দু-দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম এই সমঝোতা এক্সপ্রেস। কালকের বৈঠকের পর এবার সেই সমঝোতা এক্সপ্রেস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতির হুঁশিয়ারি, রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ, আকাশপথ আংশিক বন্ধের সিদ্ধান্তের ঘোষণায় আজ কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতও।

আরও পড়ুন, শ্রীনগর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হল গুলাম নবি আজ়াদকে

আজ এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক থেকে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়, কাশ্মীর সমস্যা সম্পূর্ণরূপে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আজ এক বিবৃতি দিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, গতকাল পাকিস্তান যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দুঃখজনক বিষয়। দুই দেশের কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলার রাখার জন্য আরও একবার তাদের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

.