পাক ব্যাট জওয়ানদের অনুপ্রবেশ অস্বীকার! পালটা ভারতকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ইমরান
গত দু’দিনে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতা ঘটানোয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ মিলেছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের দাবি নিহতরা পাক সেনার বর্ডার অ্যাকশন টিমের জওয়ান। এই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পালটা প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, সীমান্ত রেখায় নিরপরাধ নাগরিকদের মেরে এবং গোলাগুলি বর্ষণ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে ভারত। ১৯৮৩ সালের ‘কনভেনশন অন সার্টেন কনভেনশ ওয়েপনস’ (সিসিডব্লিউ)-র চুক্তি ভাঙার অভিযোগ আনেন ইমরান খান। আন্তর্জাতিক স্তরে কাশ্মীরে শান্তির বার্তা দিয়ে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন তিনি।
কিন্তু গত দু’দিনে জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতা ঘটানোয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ মিলেছে। সেনার দাবি, অমরনাথ যাত্রা পথে যে ল্যান্ডমাইন্ড এবং স্নাইপার রাইফেল মিলেছে, তা পাক সেনা ব্যবহৃত করে। সে দেশের সেনার মদতে বেশ কিছু জইশ জঙ্গিও অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। গতকাল শোপিয়ানে জঙ্গি-নিরাপত্তারক্ষীর গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে জ়িনাত উল ইসলাম নায়কু নামে এক জইশ জঙ্গি।
It is time to end the long night of suffering for the people of Occupied Kashmir. They must be allowed to exercise their right to self determination according to UN SC resolutions.The only road to peace & security in South Asia runs through a peaceful & just settlement of Kashmir
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) August 4, 2019
President Trump offered to mediate on Kashmir. This is the time to do so as situation deteriorates there and along the LOC with new aggressive actions being taken by Indian occupation forces. This has the potential to blow up into a regional crisis.
— Imran Khan (@ImranKhanPTI) August 4, 2019
আরও পড়ুন- বন্যায় বিপর্যস্ত মুম্বই-পুনে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় লাল সতর্কবার্তা প্রশাসনের
অন্য দিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কেরান সেক্টরে অনুপ্রবেশ চেষ্টা করে পাকিস্তানি বর্ডার অ্যাকশন টিমের জওয়ানরা। ৩৬ ঘণ্টার দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু ৭ পাক জওয়ান। যদিও পাক সেনার তরফে অস্বীকার করা হয়েছে। গত ৩১ জুলাই থেকে ১ অগস্টের মধ্যে কেরান সেক্টরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে পাক সেনা। টানা ৩৬ ঘণ্টা গোলাবর্ষণের মধ্যে পাক সেনা ও জঙ্গিদের ৭ সদস্যের মৃত্যু হয়। নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে মিলেছে ৭ জনের দেহ। তবে কেরন সেক্টরে লাগাতার ভারী গোলাবর্ষণ করে চলেছে পাক SSG কমান্ডোরা।