স্কুলে ফিরে মালালার লড়াই ফের শুরু

সে মেয়ে, তাই স্কুলে যাওয়ার `অপরাধে` তালিবানরা ওকে খুন করতে চেয়েছিল। গত বছরের ৯ অক্টোবর উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানে স্কুলবাসের মধ্যে তার মাথা, বুক লক্ষ্য করে গুলি করে তালিবান৷ একটি গুলি তার বা চোখের ওপর ফুঁড়ে ঢুকে যায়। এরপর জীবনযুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে ফেরে মালালা। সেই মালালা ফের স্কুলে যোগ দিল। প্রায় ৬ মাস পর আবার শুরু হল তার পড়াশোনা৷ সুস্থ হয়ে গতকালই সে যোগ দিয়েছে ব্রিটেনের বার্মিংহামের এজবাস্টনের একটি মেয়েদের স্কুলে৷ স্কুলের নাম এজব্যাস্টন গার্লস হাইস্কুল।

Updated By: Mar 20, 2013, 04:03 PM IST

সে মেয়ে, তাই স্কুলে যাওয়ার `অপরাধে` তালিবানরা ওকে খুন করতে চেয়েছিল। গত বছরের ৯ অক্টোবর উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানে স্কুলবাসের মধ্যে তার মাথা, বুক লক্ষ্য করে গুলি করে তালিবান৷ একটি গুলি তার বা চোখের ওপর ফুঁড়ে ঢুকে যায়। এরপর জীবনযুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে ফেরে মালালা। সেই মালালা ফের স্কুলে যোগ দিল। প্রায় ৬ মাস পর আবার শুরু হল তার পড়াশোনা৷ সুস্থ হয়ে গতকালই সে যোগ দিয়েছে ব্রিটেনের বার্মিংহামের এজবাস্টনের একটি মেয়েদের স্কুলে৷ স্কুলের নাম এজব্যাস্টন গার্লস হাইস্কুল।
ব্রিটেনের কোনো বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো পড়তে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মালালা বলেছে, ``আমি আবার বিদ্যালয়ে যাচ্ছি—এটি আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত। এটা এমন ঘটনা, যার স্বপ্ন আমি দেখেছি। আমি চাই সব শিশু বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পাক। কারণ, এটি আমাদের মৌলিক অধিকার।`` সে আরও বলেছে, "বিদ্যালয়ের পোশাক পরে আমি গর্বিত। কারণ, এই পোশাক প্রমাণ করে, আমি শিক্ষার্থী। আর আমি আমার মতো করে বেঁচে আছি ও শিখছি।``মালালা এখন নবম শ্রেণীর সমপর্যায়ে শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। ভবিষ্যতে সে রাজনীতি ও আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী।
বার্মিংহামের এজবাস্টন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রুথ উইকস বলেন, বিদ্যালয়ের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য মালালা অর্জন করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। সে একজন সাধারণ কিশোরীর মতোই হতে চায়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশাবাদী। মালালার বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাইকে বার্মিংহামে পাকিস্তানের উপদূতাবাসে শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এ জন্য মালালা এখন ব্রিটেনেই বসবাস করছে। এ মাসেই মালালার নাম উঠেছে ২০১৩-র নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য।

.