ভারতের ASAT পরীক্ষায় ঝুঁকি নেই কারও, নাসার মুখে ঝামা ঘষে জানিয়ে দিল পেন্টাগন
এদিন ভারতের সেই দাবিকেই সত্যি বলে মেনে নিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর পেন্টাগন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতার কক্ষে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে ঢুকে ধ্বংস হয়ে যাবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা নিয়ে DRDO-র বক্তব্য মেনে নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের মহাকাশ সংস্থা NASA-র বক্তব্যকে খারিজ করে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, ধ্বংস হওয়া উপগ্রহটির টুকরোগুলো কয়েকদিনের মধ্যেই আবহমণ্ডলে ঢুকে ধ্বংস হয়ে যাবে। এই টুকরোগুলির ফলে মহাকাশে কোনও বাড়তি ঝুঁকি তৈরি হবে না।
গত ২৭ মার্চ বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মহাকাশে ভাসমান একটি উপগ্রহ ধ্বংস করে ভারত। A-SAT ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উঁচুতে কক্ষে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহটিকে ধ্বংস করেন DRDO-র বিজ্ঞানীরা। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের হাতে এই ক্ষমতা ছিল। এবার সেই ক্ষমতা এল ভারতের হাতেও।
সেদিনই জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাফল্যের কথা ঘোষণা করে জানান, ভারত শান্তিকামী দেশ। ভারতের এই পরীক্ষার ফলে বিশ্বের কোনও দেশের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
কিন্তু পরীক্ষার পর থেকেই ভারতীয় বিজ্ঞানীদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি বিশ্বের একাংশ। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়, ভারতের পরীক্ষার ফলে মহাকাশে উপগ্রহের যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তা ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।
গত সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার কর্তা জিম ব্রিনডেনস্টাইন এক বিবৃতিতে জানান, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে মহাকাশে উপগ্রহটির অন্তত ৪০০টি টুকরো ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ও সেখানকার বাসিন্দা নভশ্চরদের জীবনের ঝুঁকি ৪৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
পরদিনই নাসার এই দাবিকে উড়িয়ে দেন DRDO-র প্রাক্তন প্রধান ভিকে সারস্বত। তিনি বলেন, ভারত পৃথিবীর খুব কাছাকাছি কক্ষে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তাছাড়া এই সংঘর্ষের ফলে যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তার ভরবেগ এতই কম যে সেগুলি ৪৫ দিনের মধ্যে পৃথিবীর অভিকর্ষের ফলে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ভারতের সাফল্যে ঈর্ষায় অহেতুক উত্কণ্ঠা তৈরি করছে নাসা।
নির্দেশ মতো সব চেষ্টা করলেও রোখা যায়নি নিয়তি, ইথিওপিয়ান তদন্তে আরও বিপাকে বোয়িং
এদিন ভারতের সেই দাবিকেই সত্যি বলে মেনে নিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতর পেন্টাগন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতার কক্ষে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফলে যে টুকরোগুলি তৈরি হয়েছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে ঢুকে ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে কারও কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
বলে রাখি, গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্য চর উপগ্রহ ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। চর উপগ্রহের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সামরিক ও অসামরিক তথ্য সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। A-SAT-এর সফল পরীক্ষার পর তেমন কোনও সন্দেহজনক উপগ্রহ ধ্বংস করতে পারবে ভারত।