দৈত্য টাইফুনের পর ফিলিপিন্সে `জোম্বি` হয়ে খাবারের সন্ধানে ঘুরছে মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজার ছাড়াল, গৃহহীন দশ লক্ষ মানুষ

রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে জোম্বি। খাবারের সন্ধানে। না কোনও হলিউড ছবিতে নয় এমন ঘটনা নাকি ঘটছে ফিলিপিন্সে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর মানুষের জম্বি মানে জীবন্ত মৃতদেহের মত হেঁটে খাবার খুঁজছে, ঠিক নাকি সিনেমার মত লাগছে। এমন কথাই জানালেন এক স্থানীয় বাসিন্দা। ফেসবুকে ফিলিপিন্সের রাস্তায় জোম্বিদের হাঁটার ছবিও পোস্ট করেছে ঝেনি চু নামের ওই মেডিক্যালের ছাত্র। যদিও সেই ছবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

Updated By: Nov 10, 2013, 04:56 PM IST

রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে জোম্বি। খাবারের সন্ধানে। না কোনও হলিউড ছবিতে নয় এমন ঘটনা নাকি ঘটছে ফিলিপিন্সে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর মানুষের জম্বি মানে জীবন্ত মৃতদেহের মত হেঁটে খাবার খুঁজছে, ঠিক নাকি সিনেমার মত লাগছে। এমন কথাই জানালেন ফিলিপিন্সের ছোট্ট শহর লেইটার এক স্থানীয় বাসিন্দা। ফেসবুকে ফিলিপিন্সের রাস্তায় জোম্বিদের হাঁটার ছবিও পোস্ট করেছে ঝেনি চু নামের ওই মেডিক্যালের ছাত্র। যদিও সেই ছবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এদিকে সুপার টাইফুন হাইয়ানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপিন্স। বিধ্বংসী ঝড়ে এখনও পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের আশ্রয় ত্রাণ শিবির। হাইয়ানই এখনও পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে জানিয়েছে ফিলিপিন্স সরকার। দ্বীপরাষ্ট্রের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে ফিলিপিন্স। শুক্রবার সুপার টাইফুন হাইয়ান আছড়ে পড়ার পর থেকে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিরাশ্রয় লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ঠিক কত মানুষ টাইফুনের বলি হয়েছেন তানিয়ে এখনও নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই ফিলিপিনস সরকারের কাছে। শুক্রবারের মহাবিপর্যয়ের পর থেকে দ্বীপরাষ্ট্রের অধিকাংশ শহর বিছিন্ন।
সমর, গুইয়ান সহ একাধিক দ্বীপে এখনও পৌঁছতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল।  গতিপথে যা পড়েছে সবই উড়িয়ে নিয়ে গেছে হাইয়ান। ঘণ্টায় তিনশো পনেরো কিলোমিটার ঝড়ের সঙ্গে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে প্রায় পনেরো মিটার উচুঁ জলোচ্ছ্বাস।  প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে শুধুমাত্র লেয়েটা শহরেরই দশহাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। অধিকাংশ বাড়ির চিহ্নমাত্র নেই। পুরোপুরি বিছিন্ন বিদ্যুত সংযোগ।
লেয়েটার মতো সমুদ্র লাগোয়া মালাপাসকুয়াও এখনও উদ্ধারকারী দলের নাগালের বাইরে। অধিকাংশ জায়গায় খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন মানুষ। পৌঁছয়নি ন্যূনতম ত্রাণ। চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মানুষের। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দ্বীপরাষ্ট্রটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে ওবামা প্রশাসন। উদ্ধারকাজেও ফিলিপিন্স সরকারকে সাহায্য করছে মার্কিন সেনা।  

.