Queen Elizabeth II Funeral: আড়ম্বর ও যথোচিত গাম্ভীর্যে শেষকৃত্য রানির; শ্রদ্ধা জানালেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
Queen Elizabeth II Funeral: ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি মাতৃহারা শোকার্ত রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যের চূড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হবে আজ সোমবার। তবে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এই আয়োজন শুধু যুক্তরাজ্যের জাতীয় শোক প্রকাশের উপলক্ষই নয়, বরং একই সঙ্গে এটি হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক বিশ্বের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কূটনৈতিক সমাবেশ। যে রাজকীয় ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ আড়ম্বর ও আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে রানির শেষবিদায় জানানোর আয়োজন করা হয়েছে, তা যথারীতি নজরকাড়া। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের বিশালত্ব ও তার সুচারু ব্যবস্থাপনায় মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। রানির শেষকৃত্যের আয়োজনটিতে বিভিন্ন দেশের প্রধান, সম্রাট, রাজা-রানি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীদের যেমন মহামিলন ঘটছে, তেমনই একে জাতীয় ঐক্যের স্বাক্ষর হিসেবে প্রতিষ্ঠারও একটা চেষ্টা চলছে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার রাতেই আমন্ত্রিত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা প্রথমবারের মতো একত্র হয়েছেন বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে। আর আজ, সোমবার রানির মৃত্যুর দ্বাদশ দিনে তাঁরা অংশ নেবেন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। সামিল হবেন রানির জন্য আয়োজিত রাষ্ট্রীয় প্রার্থনায়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি মাতৃহারা শোকার্ত রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গেও দেখা করেছেন। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে গির্জায় ধারণক্ষমতা দুহাজার। তাই অধিকাংশেরই প্রবেশাধিকার সীমিত থাকবে। তবে যেখানে রানির মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়েছিল সেই ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে এবং লন্ডন থেকে তাঁর নির্ধারিত সমাধিস্থল উইন্ডসর ক্যাসলে রানির কফিন নিয়ে যাওয়ার পথে বিপুল জনসমাগম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপ ও আরব দেশগুলির রাজা-বাদশাহ, জাপানের সম্রাট ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট-সহ শতাধিক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের জন্য যে ধরনের নিরাপত্তা প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের সুযোগও বহাল রাখতে হয়েছে।
এই দুইয়ের সমন্বয় করতে গিয়ে বিদেশি অতিথিদের কাছে আগে থেকেই ব্রিটেনের পরামর্শ ছিল তাঁরা যেন বাণিজ্যিক যাত্রী বিমানে যাতায়াত করেন এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মূল অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সরকারিভাবে ঠিক করে দেওয়া বাসই যেন ব্যবহার করেন। প্রাথমিক ভাবে এ নিয়ে কিঞ্চিৎ সমালোচনাও হয়েছিল।