ধর্ষণের সাজা! রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ১৪৬ বার চাবুকের ঘা, যন্ত্রণায় ছটফট করল দোষী

সেই ধর্ষকের বয়স ১৯ বছর। গত বছর এক নাবালিকাকে সে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ।

Updated By: Nov 27, 2020, 01:22 PM IST
ধর্ষণের সাজা! রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ১৪৬ বার চাবুকের ঘা, যন্ত্রণায় ছটফট করল দোষী

নিজস্ব প্রতিবদন- এমন শাস্তির দাবি বহুদিন ধরেই জানাচ্ছেন এদেশের অনেক মানুষ। ধর্ষককে যেন রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দিনের আলোয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এমন শাস্তি আমাদের দেশের সংবিধানবিরোধী। সারা বিশ্বে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ধর্ষণের ঘটনা কমবে না। এমনই যুক্তি বহু মানুষের। তবে এবার ধর্ষককে দৃষ্টান্তমূলক এবং নির্মম শাস্তি দিল ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন। দিনের আলোয় রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ধর্ষককে ১৪৬ বার চাবুকের ঘায়ে রক্তাক্ত করা হল। যন্ত্রণায় ছটফট করল ধর্ষক। চেঁচামেচি জুড়ল সে। কিন্তু কোনও লাভ হল না।

ইন্দোনেশিয়ার সেই ধর্ষকের বয়স ১৯ বছর। গত বছর এক নাবালিকাকে সে ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ। আর তাই তাঁকে সবার সামনে ১৪৬বার চাবুকের ঘা লাগানোর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। চাবুকের কয়েক ঘা খাওয়ার পরই সেই ধর্ষক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে সেখানে একজন ডাক্তারকে রাখা হয়েছিল। তিনি সেই ধর্ষকের সুশ্রুষা করেন। তার পর আবার তাকে চাবুকের ঘা দেওয়া হয়। ইসলামিক আইনের লঙ্ঘন করলে ইন্দোনেশিয়া চাবুকের ঘা লাগানোর সাজা সাধারণ ব্যাপার। তবে এতবার চাবুকের ঘা দেওয়ার সাজা শুধুমাত্র গুরুতর অপরাধ করলেই দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-  উপহার নিয়ে আসবে তো সান্তা, জানতে চেয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখল খুদে

চাবুকের কয়েক ঘা খেয়ে সেইই ধর্ষক অজ্ঞান হয়েছিল। কিন্তু তার সাজা পূরণ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এমন নির্মম শাস্তি দেওয়া হয় যাতে এর পর কেউ একই অপরাধ করার আগে দুবার ভাবে! এদিন ইন্দোনেশিয়ার ইস্ট অসেহ-তে আরও দুজনকে ১০০ চাবুকের ঘা মেরে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও নিজের থেকে কমবয়সী মেয়েদের উপর যৌন অত্যাচার করার অভিযোগ ছিল। 

.