এভাবেও ফিরে আসা যায়!

তিরিশ হাজার ফুট ওপরে বিমানের ভিতর আশ্চর্য দক্ষতায় সহযাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন এক যাত্রী। শুধুমাত্র একটি চামচ এবং দাঁত খোঁচানোর কাঠি দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন সাংহাইয়ের তিয়ান উ।  

Updated By: Oct 19, 2016, 07:28 PM IST
এভাবেও ফিরে আসা যায়!

ওয়েব ডেস্ক: তিরিশ হাজার ফুট ওপরে বিমানের ভিতর আশ্চর্য দক্ষতায় সহযাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন এক যাত্রী। শুধুমাত্র একটি চামচ এবং দাঁত খোঁচানোর কাঠি দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করলেন সাংহাইয়ের তিয়ান উ।  

এটাও কি সম্ভব? কোনও ডাক্তারি সরঞ্জাম ছাড়াই তিরিশ হাজার ফুট ওপরে বিমানের ভিতর জ্ঞান হারিয়ে ফেলা যাত্রীর প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া! হাতে শুধুমাত্র একটি চামচ ও দাঁত খোঁচানোর কাঠি।

কাশগার থেকে উরুমকি উড়ে যাচ্ছিল এয়ার চায়নার বিমানটি। হঠাত্ই বিমানকর্মীরা একজন চিকিত্সকের খোঁজ শুরু করে দেন। কারণ, হঠাত্ই জ্ঞান হারান এক যাত্রী। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা উঠতে শুরু করে। ওই বিমানেই ছিলেন সাংহাইয়ের লনহুয়া হাসপাতালের ডাক্তারির ছাত্র তিয়ান উ। অসুস্থ হয়ে পড়া ওই যাত্রীকে দেখেই তিয়ান বুঝতে পারেন, তিনি একজন মৃগী রোগী। সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করে দেন তিয়ান।

আরও পড়ুন- ম্যানিলায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিসের গাড়ির ধাক্কা

আঙুল দিয়ে মুখটা ফাঁক করে গ্যাঁজলা বের করে দেন তিয়ান উ। তারপর একটি চামচে রুমাল জড়িয়ে অসুস্থ ওই যাত্রীর জিভের নিচে রেখে দেন। তারপর একটি টুথপিক দিয়ে ওই রোগীর মাথার বেশ কয়েকটি জায়গায় চাপ দিয়ে মস্তিষ্ককে সচল রাখার চেষ্টা করেন। এরপরেই প্রাণ ফিরে আসে ওই যাত্রীর।  

আরও পড়ুন- মডেলিংয়ে নামছেন সেই 'ভাইরাল' নীল মণির পাক চা-ওয়ালা

বিমান থেকে নেমে ওই যাত্রীকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন তিয়ান উ। ভবিষ্যতে বিমান চড়ার সময় এমন ঘটনা এড়াতে মৃগী রোগের ওষুধ সঙ্গে রাখতে বলেছেন ওই যাত্রীকে। বাতাসের চাপের পরিবর্তন হলে এবং অক্সিজেনের
অভাব থাকলে মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। সব বিমানে তো আর তিয়ান উ থাকবেন না!

.