Pakistan-Russia Relations: এবার পাকিস্তানের পাশে রাশিয়া! নতুন বন্ধুত্বে ক্ষুব্ধ আমেরিকা?
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বারবার অভিযোগ করেছেন যে এপ্রিল মাসে তার অপসারণের পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে। ইমরান বলেছেন যে তাকে একটি ‘স্বাধীন বিদেশ নীতি’ অনুসরণ করার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার প্রচেষ্টার জন্য এই শাস্তি বলে জনিয়েছেন তিনি। আমেরিকা বরাবরই পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা অস্বীকার করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে পারে পাকিস্তান। দুই দেশই এই সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের পর একজন কর্মকর্তা এই কথা জানিয়েছেন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শরীফের প্রতিনিধি দলের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অন্তত তিনটি বৈঠক করেছেন। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই বৈঠকগুলির মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক এবং বাকিগুলি বেসরকারি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ান পক্ষের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনার সময় আমরা যা আলোচনা করেছি তা হল ধারে তেল আমদানির সম্ভাবনা’।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া প্রস্তাবটি বিবেচনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি বলেন যে রাশিয়া পাকিস্তানকে গ্যাস সরবরাহ করতে পারে। রাশিয়া ভারতের অন্যতম সেরা বন্ধু এবং পাকিস্তান ক্রমাগত রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক উন্নত করছে বলে জানা গিয়েছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে তা দুই দেশের সম্পর্কে একটি ঐতিহাসিক অগ্রগতি হবে। কারণ পাকিস্তান উপসাগরীয় দেশগুলি থেকে তেল আমদানি করে এবং অতীতে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পাকিস্তানকে টাকার বিনিময়ে তেল সরবরাহ করে। আমেরিকার সম্ভাব্য বিরোধিতার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই তেল আমদানির বিকল্পটি বেছে নিতে পারবে কি না তা স্পষ্ট নয়।
বিদেশ দফতরের একটি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে, আমেরিকা কখনোই পাকিস্তানকে স্পষ্টভাবে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি না করার কথা বলেনি। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে এই ধরনের বাণিজ্য না করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের উপর পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে ফল ভালো হবে না, পুতিনকে চাপা হুমকি বাইডেনের
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বারবার অভিযোগ করেছেন যে এপ্রিল মাসে তার অপসারণের পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে। ইমরান বলেছেন যে তাকে একটি ‘স্বাধীন বিদেশ নীতি’ অনুসরণ করার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার প্রচেষ্টার জন্য এই শাস্তি বলে জনিয়েছেন তিনি। আমেরিকা বরাবরই পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা অস্বীকার করেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, শাহবাজ এবং পুতিনের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠক এই ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়েছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহবাজ এবং পুতিনের মধ্যে বৈঠকের পর রাশিয়ার প্রকাশিত প্রতিলিপিতে এমন কোনও ইঙ্গিত নেই যে মস্কো নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত নয়। পাকিস্তানের নতুন এই সরকারকে প্রায়ই ইমরান এবং তার সমর্থকরা আমেরিকার পুতুল বলেন।