Russia-Ukraine War: 'প্রাণ বাঁচাতে দৌড়েছি শুধু', ভারতে ফিরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা স্মরণ পড়ুয়াদের
এদিন বিকেলে দেশে অবতরণের পর প্রাণে বাঁচলেন তারা। ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে অবশেষে দেশে ফিরে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে পড়ুয়াদের।
![Russia-Ukraine War: 'প্রাণ বাঁচাতে দৌড়েছি শুধু', ভারতে ফিরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা স্মরণ পড়ুয়াদের Russia-Ukraine War: 'প্রাণ বাঁচাতে দৌড়েছি শুধু', ভারতে ফিরে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা স্মরণ পড়ুয়াদের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/03/01/366439-kstui.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার সকালে ১৮২ জন যাত্রী মুম্বই বিমানবন্দরে নামার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। বেশিরভাগই ইউক্রেনের ভিন্নিতসিয়া ন্যাশনাল পিরোগভ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে (Indian students) পড়ে। এদিন বিকেলে দেশে অবতরণের পর প্রাণে বাঁচলেন তারা। ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র (Russia-Ukraine War) থেকে পালিয়ে অবশেষে দেশে ফিরে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে পড়ুয়াদের।
মুম্বইয়ের থানের বাসিন্দা নিশি মালকানি দেশে ফিরে আসার পর ইউক্রেন সীমান্তে তাঁর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। কীভাবে পৌঁছলেন দেশ পর্যন্ত? যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে বললেন, "শুধু দৌড়াও। কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশ নেই। গুলিবর্ষণ দেখেছি এবং যুদ্ধবিমানের আওয়াজ শুনেছি। দৌড়াতাম এবং বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকতাম। বাইরে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় আরও অনেক ছাত্র রয়েছে। শুধু আশা করি সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরবে।"
ওই পড়ুয়া আরও বলেন, "ওখানে কোন মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই। পরিবহনের কোন উপায় নেই এবং গুলি চালানোর কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। তাদের পরিবার আমাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমরা তাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন কামনা করছি।''
বুকোভিনিয়ান স্টেট মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ছাত্রী পূর্ভা পাটিল বলেছেন, তাকে সীমান্তে দু দিন কাটাতে হয়েছে। তিনি বললেন, "আমরা আবহাওয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করেছি, কয়েক কিলোমিটার ধরে হেঁটে সীমান্তে পৌঁছেছি এবং দেখতে পেয়েছি সেখানে কী পরিমাণ ভিড় ছিল। সেখানে ইউক্রেনীয়রা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছে। সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে যাওয়ার জায়গা ছিল না। সেখানে পদপৃষ্ঠ হওয়ার মতো পরিস্থিতি। আমাদের যা ছিল তাই খেয়ে রাত কাটিয়েছি। সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পৌঁছানোর পর আমরা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করি।"
২৪ ফেব্রুয়ারী ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। তারপরই রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন যে পূর্ব ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য এটি প্রয়োজন, যেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী এবং রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রায় দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করছে।
আরও পড়ুন, জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে Russia-কে না চটিয়েই কূটনৈতিক পথে Ukraine যুদ্ধের নিষ্পত্তি চায় ভারত