নিজস্ব প্রতিবেদন: মহাকাশেও বাড়ছে ট্রাফিক। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ যে হারে উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাচ্ছে তাতে খুব সতর্ক না হলেই বিপদ। ঘটতে পারে ভয়ঙ্কর ঘটনা। এমনই এক দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল ISRO-র একটি উপগ্রহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'যা করেছেন ঠিক করেছেন', শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরই সুর চড়ালেন জেলা সহ সভাপতি 


গত শুক্রবার রাশিয়ার Kanopus-V উপগ্রহের খুব কাছে চলে এসেছিল ISRO-র Cartosat 2F। ইসরোর ওই উপগ্রহটির ওজন ৭০০ কেজি। সংঘর্ষ বাধলে তুলকালাম হতে পারত মহাশূন্যে। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা Roscosmos জানিয়েছে শুক্রবার ভারতের Cartosat 2F মাত্র ২২৪ মিটার দূর দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে Kanopus-V-র।


কতটা দূরত্ব নিরাপদ


সাধারণভাবে মনে করা হয়ে মহাকাশে একটি অরবিটে দুটি উপগ্রহের মধ্যে ন্যূনতম দূরত্ হওয়া উচিত ১ কিলোমিটার। মহাকাশে যেহতু রোজই উপগ্রহের সংখ্যা বাড়ছে তাই তাদের অরবিট প্রতি ৩-৪ সপ্তাহ অন্তর পর্যালোচনা করা হয়।


ভূপৃষ্ঠের ৫০০-২০০ কিলোমিটারের মধ্যেকার এলাকা সবচেয়ে বেশি যানজটপূর্ণ। এই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ১০ সেন্টিমিটার থেকে ছোট গাড়ির আকারের শয়ে শয়ে উপগ্রহ। এখন ওইসব উপগ্রহগুলি বিশেষ বিশেষ কাজে পাঠান হয়েছে। তাই তাদের গতিপথ বদল করারও বেশ শক্ত।


২০০৯ সালে দুটি কয়েকটি স্যাটেলাইটের মধ্যে মহাকাছে বড়সড় সংঘর্ষ হয়েছিল। সেবার মার্কিন একটি উপগ্রহ ধাক্কা দিয়েছিল এক রুশ উপগ্রহকে। ওই সংঘর্ষে তৈরি হওয়া হাজার হাজার টুকরো ছড়িয়ে পড়ে সাইবেরিয়ায়।


আরও পড়ুন-আমরা হোলসেল করছি, ওদের রিটেল চলছে না, ফিরহাদের 'পাইকারি'র পাল্টা দিলীপের


দুটি উপগ্রহের মধ্যে কতটা দূরত্ব থাকবে তা নিয়ে বর্তমানে ৩টি মডেল রয়েছে। একটি হল ইউরোপিয় মডেল, আমেরিকান মডেল এবং অন্যটি রুশ মডেল। ভারতের মডেল এখনও তৈরি হচ্ছে। ভারত মনে করে দুটি স্যাটেলাইটের মধ্যে দূরত্ব থাকা উচিত ১ কিলোমিটার। অন্যদিকে, রুশ মডেল অনুযায়ী ওই দূরত্ব হওয়া উচিত ৫০০ মিটার।


উল্লেখ্য, ২০২০ সালের জানুযারির একটি হিসেব অনুযায়ী মহাকাশে বর্তমানে রয়েছে ২,০০০ উপগ্রহ। তারা প্রতিনিয়ত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। পাশাপাশি মহাকাশে ভাসছে ধ্বংস হওয়া মহাকাশ যানের কমপক্ষে ২৩,০০০ খণ্ড। এরা যে কোনও সময়ে উপগ্রহগুলির বিপদের কারণ হতে পারে।