অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বহু প্রতীক্ষিত এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের সঙ্গে

Updated By: Oct 21, 2018, 02:48 PM IST
অমৃতসর ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকজ্ঞাপন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: অমৃতসরের ট্রেন দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ যে দেশের বেড়াজাল পেরিয়ে তার রেশ আছড়ে পড়ল আন্তর্জাতিক স্তরেও। সম্প্রতি ভারত সফর করে যাওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গলায় শোনা গেল অমৃতসর ঘটনার শোকবার্তা। ভ্লাদিমির পুতিন এক বার্তায় জানিয়েছেন, পঞ্জাবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। মৃতদের পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

আরও পড়ুন- আপনার জন্য ৫০০ ট্রেন চলে গেলেও পরোয়া নেই তাদের, সিধুর স্ত্রীর উদ্দেশে বার্তা উদ্যোক্তাদের

শুক্রবার রাবণ দহন উপলক্ষে অমৃতসরের ধোবিঘাটের জোড়া ফলক এলাকায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৬১ জনের। দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে সব মহলের বিশিষ্টরা গভীর শোকজ্ঞাপন জানান। তবে, রুশ প্রেসিডেন্টের তরফে এমন শোকবার্তা অন্য মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে আসেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বহু প্রতীক্ষিত এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের সঙ্গে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রুকুটি এড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তি নতুন করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে জোয়ার আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়ার সঙ্গে ৫০০ কোটি ডলারে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পাকিস্তান এবং চিন যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।

আরও পড়ুন- অমৃতসর দুর্ঘটনায় স্বজনহারাদের দিকে লাঠি হাতে তেড়ে গেল 'ঠুঁটো জগন্নাথ' পুলিসই

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ৭টা নাগাদ অমৃতসরের ধোবি ঘাট এলাকায় পালিত হচ্ছিল দশেরা। সেখানে রাবণ পোড়ানোর সময় লাইনের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রচুর মানুষ। সে সময়ই ডিএমইউ জলান্ধর-অমৃতসর প্যাসেঞ্জারের ধাক্কায় কমপক্ষে মৃত্যু হয় ৬১ জনের। আহতের সংখ্যা অনেক। যদিও এই ঘটনায় চালকের কোনও গাফিলতি দেখতে পাচ্ছেন না রেলের কর্তারা। রেল প্রতিমন্ত্রী মনোজ সিনহার দাবি, ট্রেনের গতি একটা নির্দিষ্ট সীমায় বাঁধা ছিল। ঘটনাস্থলে রেল লাইনে বাঁক থাকায় এবং অন্ধকারেরর জন্য আগাম বিপদ বুঝতে পারেননি চালক। রেল কর্তৃপক্ষ সাফাই দেয়, জরুরীকালীন ব্রেক কষলেও কোনও সুবিধা হত না। উল্টে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।  

.