'১৫ বছর আগেই মেরে ফেলতাম স্টিফেন হকিং-কে,' টুইট বিজ্ঞানীর!
যৌবন থেকেই স্নায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন হকিং। ফলে তাঁর প্রায় গোটা জীবনটাই কেটেছে হুইল চেয়ারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : স্নায়ুর জটিল সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার কেমব্রিজে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্বজুড়ে। হকিং-এর মৃত্যুর পরই একটি গোপন তথ্য প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানী সারা পারকক। তাঁর টুইট, হকিং-কে আমি ১৫ বছর আগেই মেরে ফেলতে গিয়েছিলাম।
যৌবন থেকেই স্নায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন হকিং। ফলে তাঁর প্রায় গোটা জীবনটাই কেটেছে হুইল চেয়ারে। কিন্তু এই সমস্যা তাঁর বিজ্ঞান মনস্কতাকে কাবু করতে পারেনি। চেয়ারে বসেই ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য নিয়ে গবেষণায় নিজেকে উত্সর্গ করেছিলেন হকিং। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য জগত্জোড়া খ্যাতি লাভ করেন তিনি। বিশেষ করে যে কোনও জটিল বিষয়কে সহজ সরল ভাবে বুঝিয়ে দেওয়াই ছিল তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব।
আরও পড়ুন- সহজ করে বলতে পারাই ছিল তাঁর শক্তি, স্টিফেন হকিংকে মনে রাখবে মহাকাশবিজ্ঞান
এহেন একজন নক্ষত্রকে ১৫ বছর আগেই নাকি মেরে ফেলতে গিয়েছিলেন সারা। কিন্তু কেনও? কী হয়েছিল সেদিন?
টুইটে সারা পারকক জানিয়েছেন, ১৫ বছর আগে একদিন কেমব্রিজের একটি রাস্তা দিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে ফিরছিলেন তিনি। রাস্তার দু'ধারে সারিবদ্ধ ভাবে গাড়ি পার্ক করা ছিল। হঠাই দুটি গাড়ির মাঝখান দিয়ে হকিং-এর হুইলচেয়ার গড়িয়ে রাস্তার মাঝখানে চলে আসে। তখন যথেষ্ট গতিতে ছিল সারার মোটর সাইকেলটি। ইমার্জেন্সি ব্রেক চেপে কোনওরমকে দাঁড়ান তিনি। প্রাণে বাঁচেন হকিং। সারা বলেন, এই ঘটনা আমার কোনও দোষই ছিল না। পুরো দোষটাই ছিল হকিং-এর।
Stephen Hawking died today. I nearly killed him, and he me, 15 years ago, when his wheelchair shot out between two parked cars at Cambridge, and I was on my bike. I swerved at the last moment. 100% his fault. God bless you and RIP.
— Prof. Sarah Parcak (@indyfromspace) March 14, 2018
সারার এই টুইট ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়াতে সাড়া ফেলেছে। তাঁর টুইটের উত্তরও দিয়েছেন অনেকে।