ম্যানহাটানে ইট-কাঠের কংক্রিটের মানচিত্রে সবুজের বুকে ভেড়ার পাল
ম্যানহাটানের ইট-কাঠ-জঙ্গলের মাঝখানে এক টুকরো সবুজ। সেখানে চরে বেড়াচ্ছে ভেড়ার পাল।
ম্যানহাটানের ইট-কাঠ-জঙ্গলের মাঝখানে এক টুকরো সবুজ। সেখানে চরে বেড়াচ্ছে ভেড়ার পাল।
এমন ছবি বিরল হলেও সত্যি। শিল্প সংগ্রাহক মাইকেল শোভো এবং গ্যালারির মালিক পল কাসমিনের যৌথ উদ্যোগে গ্যাস স্টেশন বদলে গিয়েছে শিপ স্টেশনে।
পরিত্যক্ত এই গেটি গ্যাস স্টেশনে এখন নজর নিউ ইয়র্কারদের গাড়ির জ্বালানি ভরতে নয়। এক টুকরো সবুজের মধ্যে চরে বেড়ানো ভেড়ার পালের সন্ধানে। ম্যানহাটানের চেলসি আর্ট ডিস্ট্রিক্টে এই কৃত্রিম আবহের পরিকল্পনায় শিল্প সংগ্রাহক মাইকেল
শোভো এবং গ্যালারি মালিক পল কাসমিন। নাম শিপ স্টেশন।
ফ্রাঁসোয়া-জাভিয়ের লালান এই ভেড়াগুলি বানিয়েছেন। আর নিউ ইয়র্কের মাঝখানে গ্যাস স্টেশনে আমরা এই গ্রামের পরিবেশ নিয়ে এসেছি। দর্শকরা এটা পছন্দ করছেন কারণ সবার কাছেই এটা বোধগম্য। এর সৌন্দর্য তারিফ করার জন্য শিল্পের সমঝদার হওয়ার প্রয়োজন নেই।
এটা দারুণ হয়েছে। এটা ফসিল জ্বালানি বা ফ্যাশন উইক, যারই বার্তা দিক না কেন, আমার দারুণ লেগেছে। শহরের মাঝখানে একটুকরো প্রকৃতি যেন।
পল কাসমিন নিজে লালানের ভাস্কর্যের সংগ্রাহক। গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে সুররিয়াল ভাস্কর্য সৃষ্টি করে বিখ্যাত হয়েছিলেন লালান। তাঁর কাজ দিয়ে ম্যানহাটানের মতো ইট-কাঠ- কংক্রিটের জঙ্গলে সুররিয়াল পরিবেশ তৈরি করাই
ছিল কাসমিনের লক্ষ্য। টাকা-পয়সার জন্য নয়। আমি খালি লালানের কথা ভাবি। এটার কথা জানলে তিনি দারুণ খুশি হতেন। এই ধরনেরই কিছু একটা হোক, এমনটা চাইতেন তিনি।
দর্শকদের জন্য শিপ স্টেশন থাকছে বিশে অক্টোবর পর্যন্ত। শোভো জানাচ্ছেন, এরপর অন্য কিছু আসবে এই গ্যাস স্টেশনে।