লাহোরে শিখ তরুণীকে অপহরণ করে ধর্মান্তরকরণ, মেয়েকে ফিরে পেতে ইমরানের দ্বারস্থ পরিবার
তরুণীর দাদা মনমোহন সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা হুমিক দিয়ে গিয়েছে, পুলিসের কাছে অভিযোগ তুলে না নিলে পরিবারের সবাইকেই খুন করা হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: জোর করে ফের ধর্মান্তর করার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানে। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার লাহোরে খোঁজ মিলল এক অপহৃত শিখ তরুণীর। ততক্ষণে তাকে জোর করে ধর্মান্তর করা হয়ে গিয়েছে এবং তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছে এক মুসলিম তরুণের সঙ্গে। একটি ভিডিয়োতে ওই তরুণী তাঁর ইসলাম গ্রহণ করার কথা স্বীকার করেছেন। সেই ভিডিয়ো এখনই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন-বিজেপির মিটিংয়ে হামলা, 'গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল' দাবি তৃণমূলের
লাহোরের নানকানা সাহিব এলাকায় এক শিখ গ্রন্থি-র মেয়ে জগজিত্ কউর দিন তিনেক আগে নিখোঁজ হয়ে যায়। মেয়ের বাবা ভগবান সিং তাম্বু সাহিবের একটি গুরুদ্বারের গ্রন্থি। পরিবারের অভিযোগ, বন্দুক দেখিয়ে ঘর থেকে তুলে গিয়ে যাওয়া হয়েছিল জগজিত্ কউরকে। জগজিতের পরিবারের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছে, মেয়েকে ফেরত না পেলে তাঁরা পাক পঞ্জাবের গভর্নরের দফতরের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হবে।
Sikhs of Pakistan seek help from @ImranKhanPTI
I urge @narendramodi Ji & @DrSJaishankar Ji to raise this issue at global level bcos forced conversions happening in Pakistan have angered all the Sikhs
This issue must be taken up at @UN as it threatens Sikhs freedom of religion pic.twitter.com/lsDsKg4ZHZ
— Manjinder S Sirsa (@mssirsa) August 29, 2019
'
জগজিতের ভাই সুরিন্দর সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘একদল লোক জোর করে আমাদের ঘরে ঢুকে আমার ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যায়। ওকে মারধর করে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে ওরা।’ সুরিন্দর সিং আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। পুলিসের ওপরতরলার অনেকের কাছেই গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। উল্টে এলাকার দুষ্কৃতীরা আমাদের বাড়িতে এসে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।’
আরও পড়ুন-প্রেমিক বন্ধুদের দিয়ে গণধর্ষণ করিয়েছিল, কোলাঘাটের সেই নির্যাতিতা দশম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু!
এদিকে, মেয়েকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও দেশের প্রধান বিচারপতি আসিফ সইদের কাছে আবেদন করেছেন তরুণীর বাবা ভগবান সিং। এনিয়ে তরুণীর দাদা মনমোহন সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘দুষ্কৃতীরা হুমিক দিয়ে গিয়েছে, পুলিসের কাছে অভিযোগ তুলে না নিলে পরিবারের সবাইকেই খুন করা হবে। গোটা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সেনাপ্রধান জাভেদ বাজওয়াকে জানানো হয়েছে।’
এই অপহরণ ও ধর্মান্তরকরণের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে লাহোরের শিখদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে একটি বৈঠকও হয়েছে। এনিয়ে সক্রিয় দিল্লির শিখ গুরুদ্বার পরিচালন কমিটি ও অকালি দল নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে এনিয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।