চিন-আমেরিকা আকাশদখলের লড়াই! 'সত্যি' হলেও গল্প
ভিডিয়োটি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে চিন আমেরিকা দু'পক্ষই। চিনের প্রতিরক্ষা দফতর বা ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড কোনও তরফই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমেরিকা-চিন যুদ্ধ! হ্যাঁ, সেরকমই তো ঘটনা।
চিনের এক মরু অঞ্চল থেকে নিউক্লিয়ার কেপেবল এইচ-৬ বম্বার্স আক্রমণে যাচ্ছে। ইউএস প্যাসিফিক আইল্যান্ড অফ গুয়ামের অ্যান্ডারসেন এয়ারফোর্স বেসের প্রতি শানানো হয়েছে আক্রমণ। আক্রমণের মাঝপথে পাইলট একটি বোতামে হাত ছোঁয়ান। সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকে-ঝাঁকে মিসাইল বেরোতে শুরু করে। একটা এক্সপ্লোসনও হয়।
ব্যাপার কী! এত বড় ঘটনা অথচ এত নীরব কেন সংবাদমাধ্যম? নীরব কারণ, বিষয়টি একটি ভিডিয়োতে দৃশ্যমান। জানা গিয়েছে, চিনের বায়ুসেনার তরফে 'দ্য গড অফ ওয়ার এইচ-৬কে গোজ অন দ্য অ্যাটাক 'নামের এই বানানো ভিডিয়োটি প্রকাশ করা হয়েছে। দু মিনিট ১৫ সেকেন্ড-এর এই ভিডিয়োতে নেপথ্যে একটি মিউজিকও বাজছে। তবে ভিডিয়োটির যে-অংশে মিসাইলগুলি পড়তে থাকে, সেখানে ওই মিউজিক থেমে যায়।
কিন্তু বানানো হলেও হঠাৎ আমেরিকার দিকে আক্রমণ শানাল কেন চিন? আসলে তাইপেইতে একদল সিনিয়র ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফিসিয়ালের এসে ঘাঁটি গেড়ে বসাটাকে ভাল মনে নিতে পারেনি চিন বলেই খবর। ওদিকে গুয়াম খুবই স্পর্শকাতর একটি জায়গা। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এয়ারবেস এটি। ভিডিয়োয় চিনের সৈন্যদের তরফে একটি বার্তাও ভেসে উঠেছে--"আমরা আমাদের মাতৃভূমির আকাশপথের রক্ষাকর্তা। এই আকাশকে রক্ষা করার শক্তি ও সামর্থ্য আমাদের আছে।"
তবে, অদ্ভুত এই যে, ভিডিয়োটি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে চিন আমেরিকা দু'পক্ষই। চিনের প্রতিরক্ষা দফতর বা ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড কোনও তরফই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে সিঙ্গাপুরের 'ইনস্টিটিউট অফ ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ'-এর এক রিসার্চ ফেলো কলিন খো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানান, ভিডিয়োটি আসলে চিনের পেশিশক্তির প্রদর্শনী। দূর-পাল্লার আক্রমণের ক্ষেত্রে তাদের ক্রমবর্ধমান শক্তিমত্তার প্রতি শত্রু দেশের সমীহ জাগানোর জন্যই এটা তৈরি করার কথা ভাবা হয়েছে। ভিডিয়োটির মাধ্যমে চিনকে একটু সাবধানও করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ চিন সমুদ্র বা তাইওয়ান ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমেরিকার নাক গলানোটা ভাল মনে মেনে নিচ্ছে না চিন। এবং এই সিমিউলেটেড ভিডিয়োটি আসলে আমেরিকার প্রতি একটা হুঁশিয়ারি।