ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে বিশ্ব জুড়ে

ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব কী সত্যিই আছে? জানতে বাকি আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। আগামীকাল ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ বা সার্নের গবেষকরা তাঁদের পরীক্ষার ফল জানাবেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা ঈশ্বর কণার চিহ্ন খুঁজে পেলেও সেটিকে দেখতে পাননি।

Updated By: Jul 3, 2012, 12:38 PM IST

ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব কী সত্যিই আছে? জানতে বাকি আর মাত্র কয়েকঘণ্টা। আগামীকাল ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ বা সার্নের গবেষকরা তাঁদের পরীক্ষার ফল জানাবেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা ঈশ্বর কণার চিহ্ন খুঁজে পেলেও সেটিকে দেখতে পাননি। বুধবার সে কথাই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারেন লার্জ হেড্রন কোলাইডারের তত্বাবধায়করা। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীমহলে দানা বেঁধেছে প্রবল জল্পনা ।
মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু কোথা থেকে তার ভর খুঁজে পায় ?
প্রশ্নের উত্তরে ১৯৬০ সালে ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী পিটার হিগস তত্ত্বগতভাবে এই কণার কথা বলেছিলেন। হিগসের উল্লেখিত এই কণার চরিত্র সম্পর্কে আলোকপাত করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। দুই বিজ্ঞানীর নামে কণাটির নাম দেওয়া হয় হিগস-বোসন। পরবর্তীকালে বিজ্ঞানী মহলে হিগস-বোসন ঈশ্বর কণা নামে পরিচিত হয়। ঈশ্বর কণার অস্তিত্ব খুঁজে পেতে কয়েক বছর আগে গবেষণা শুরু করেন সার্নের বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই পরীক্ষায় তাঁরা প্রায় আলোর গতিবেগে বিপরীতমুখী প্রোটনের সংঘর্ষ ঘটান। ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড সীমান্তে মাটির ১০০ মিটার নীচে সুড়ঙ্গের ভিতর লার্জ হেড্রন কোলাইডারে ঘটে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষের ফলে ঈশ্বর কণার উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে কিনা তা আগামীকাল জানা যাবে। সার্নের বিজ্ঞানীদের ঘোষণার ওপরই এখন অনেকাংশে নির্ভর করছে কণা পদার্থবিদ্যায় স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ভবিষ্যত্‍।

.