তেলের দখল ঘিরে সংঘর্ষ সুদানে
বিভাজনের পর কাটেনি এক বছরও, পুরোদস্তুর সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল সুদান ও দক্ষিণ সুদান। তেলের দখলকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই সংঘাত।
বিভাজনের পর কাটেনি এক বছরও, পুরোদস্তুর সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল সুদান ও দক্ষিণ সুদান। তেলের দখলকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই সংঘাত।
দক্ষিণ সুদানের অন্তর্বর্তী সরকারের অভিযোগ, সুদানি সামরিক বাহিনী আন্তর্জাতিক সীমা অতিক্রম করে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে । যুদ্ধ বিমান থেকে বোমা ফেলে ও ভারী কামানের গোলাবর্ষণ সহায়তায় তেল সমৃদ্ধ হেগলিগ অঞ্চলে সুদানি বাহিনী প্রবেশ করে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছে দক্ষিণ সুদান। মঙ্গলবার দক্ষিণ সুদানের সেনা মুখপাত্র ফিলিপ আগুয়ের দাবি করেন সুদানি সেনারা দুই দেশের সীমান্তবর্তী বিরোধপূর্ণ হেগলিগ অঞ্চল দখল করে নেয়। তবে পরে তাদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করার জন্য পাল্টা সামরিক অভিযান শুরু বলে দাবি করেন তিনি। লড়াই এখনও অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছেন দক্ষিণ সুদানি সেনা মুখপাত্র। সুদান এই অঞ্চলে অবস্থিত তেলখনিগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। সুদানের মোট তেল উৎপাদনের অর্ধেকই আসে এই খনিগুলো থেকে।
সুদানি বাহিনীর দু`টি ব্রিগেড স্থানীয় মিলিশিয়াদের সহায়তায় এই হামলা পরিচালনা করে বলে দক্ষিণ সুদানের সরকারি মুখপাত্র বারবার বেঞ্জামিন দাবি করেন। তবে এ ব্যাপারে সুদানি সামরিক মুখপাত্রের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। গত বছরের জুলাই মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘ আযোজিত গণভোটের মাধ্যমে উত্তরের মুসলিম শাসকদের দ্বারা পরিচালিত সুদান থেকে বেরিয়ে যায় আফ্রিকীয় উপজাতি গোষ্ঠীগুলির আবাসভূমি হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ সুদান। স্বাধীনতার পর থেকেই খার্তুম সরকারের সঙ্গে তেল ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে বিরোধে লিপ্ত হয়ে পড়ে দেশটি। এ সব ব্যাপারকে কেন্দ্র করে উভয় দেশ পুরোদস্তুর যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।