বিদেশ সফরে যাচ্ছেন সু চি

দীর্ঘ দু`দশকেরও বেশি সময় গৃহবন্দী থাকার পর প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মায়ানমারের নোবেলজয়ী সমাজকর্মী ও বিরোধী দলনেত্রী আন সান সু চি। বুধবার সু চি`র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-র তরফে জানানো হয়েছে, জুন মাসে ব্রিটেন ও নরওয়ে সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সু চি।

Updated By: Apr 18, 2012, 04:34 PM IST

দীর্ঘ দু`দশকেরও বেশি সময় গৃহবন্দি থাকার পর প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মায়ানমারের নোবেলজয়ী সমাজকর্মী ও বিরোধী দলনেত্রী আন সান সু চি। বুধবার সু চি`র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)-র তরফে জানানো হয়েছে, জুন মাসে ব্রিটেন ও নরওয়ে সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন সু চি। তবে তাঁর সফরের নির্দিষ্ট কোনও তারিখ জানানো হয়নি। এনএলডি নেত্রীর সফরের খবরটি নিশ্চিত করেছে নরওয়ে বিদেশমন্ত্রকও। নরওয়ের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ভেইন মিচেলসন জানিয়েছেন, ওসলো সফরের বিষয়ে নরওয়ের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে রবিবার ফোনে কথা হয়েছে সু চি`র। গত সপ্তাহেই মায়ানমার সফরে সু চি`র সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মায়ানমারের জাতীয় আইনসভার ভোটে চমকপ্রদ জয় পেয়েছে এনএলডি। মায়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন খুব বড়সড় প্রভাব না ফেললেও, উপনির্বাচনে সু চি`র জয় মায়ানমারের গণতন্ত্রের এগোনর পথে তাত্‍পর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ১৯৮৯ সাল থেকে পরবর্তী দু`দশকের মধ্যে ১৫ বছরই বন্দিজীবন কাটানোর পরে ২০১০ সালে মুক্তি পান মায়ানমারের গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনের নেত্রী আন সান সু চি। গণতন্ত্রের দাবিতে সু চি`র দীর্ঘ আন্দোলনকে মায়ানমারের সেনা সরকার বরাবরই নির্মমভাবে দমন করে এসেছে। আন্তর্জাতিক চাপে ২০১০-এ একবার নির্বাচন হলেও সেই ভোটে অংশ নেননি সু চি এবং তাঁর দল। এমনকী বন্দিদশায় থাকায় ১৯৯১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার নিতেও ওসলো যেতে পারেননি সু চি।

.