সিরিয়ায় সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত ১৪০
হউলার পর আবার গণহত্যার অভিযোগ উঠল সিরিয়ার বিরুদ্ধে। বুধবার সারা দেশে অন্তত ১৪০ জনের মানুষ সেনাবাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে শুধু মাজরাত-আল-কাবির গ্রামেই ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে আন্দোলনকারী এবং মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ।
হউলার পর আবার গণহত্যার অভিযোগ উঠল সিরিয়ার বিরুদ্ধে। বুধবার সারা দেশে অন্তত ১৪০ জনের মানুষ সেনাবাহিনীর হামলার শিকার হয়েছেন। তার মধ্যে শুধু মাজরাত-আল-কাবির গ্রামেই ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে আন্দোলনকারী এবং মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ। নিহতদের মধ্যে শিশু এবং মহিলাও রয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে দামাস্কাস বলেছে, এই গণহত্যা সন্ত্রাসবাদীদের কাজ। কোনো অভিযোগই অবশ্য এখনও পর্যন্ত যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
হউলায় ১০৮ জনের পর আবার সিরিয়ার সেনা হামলার শিকার হলেন শতাধিক মানুষ। আন্দোলনকারী এবং মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, শুধু বুধবারই দেশে ১৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে মাজরাত-আল-কাবির গ্রামে একটি পরিবারের ৩৫ জন-সহ নিহতের সংখ্যা প্রায় ৭৮। নিহতদের মধ্যে বহু নারী এবং শিশু রয়েছে বলে অভিযোগ। সিরিয়া অবশ্য এই সব অভিযোগ আমল দিতে নারাজ।
দামাস্কাস পাল্টা অভিযোগ তুলেছে দেশের সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোনো অভিযোগই যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কূটনৈতিক পথে সিরিয়ার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে না, বিশেষজ্ঞদের এই পর্যবেক্ষণের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘ এবং আরব লিগের প্রতিনিধি কোফি আন্নান আলোচনার স্বার্থে আরও একটি নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব হিলারি ক্লিন্টন ইরানের মতো দেশগুলিকে এই আলোচনা প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে নারাজ। সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার ইউরোপীয় সংঘ এবং ১৫টি দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা তুরস্কে বৈঠকে বসেছিলেন। বিরোধীদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই গোষ্ঠীতে কাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা এখনও অস্পষ্ট। দুনিয়াজুড়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধে যে মঞ্চ গড়ে তোলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তার বৈঠক হওয়ার কথা। এই অবস্থায় সেনা ব্যবহার করে সিরিয়ায় ক্ষমতা পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বেজিংয়ে বার্তা দিয়েছে চিন এবং রাশিয়া।