করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার, থরহরিকম্প গোটা বিশ্ব
সরকারি মতে উইঘুরঅধ্যুষিত ঝিনজিয়াং প্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২। কিন্তু অনেকের মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি। ওই অঞ্চলে রয়েছে চিনের ডিটেনশন ক্যাম্প।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৬৩৪ না ২৫ হাজার? চিনে করোনার বলি ঠিক কত? ক্রমেই বাড়ছে ধন্দ। কারণ চিনেরই একটি সংস্থার রিপোর্ট। টেনসেন্ট নামে ওই সংস্থার রিপোর্ট বলছে, নোভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪,৫৮৯ জনের। অথচ বেজিং সরকার দাবি করছে, সংখ্যাটা মাত্র ৬৩৪। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবেও বিস্তর ফারাক। টেনসেন্ট বলছে, সংক্রমিত অন্তত দেড় লাখ। তাইওয়ানের এক সংস্থার কথায়, অনিচ্ছাকৃত ভাবে হলেও আসল মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে টেনসেন্ট। সত্যিই কি অনিচ্ছাকৃত ভুল? তুঙ্গে জল্পনা।
তবে করোনায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এই ভাইরাসে। মৃতের সংখ্যা ৬৩০-এরও বেশি। যদিও চিনেরই একটি সংস্থা ইন্যাডভার্টেন্টলির দাবি আসলে এই মৃতের সংখ্যাটা এর থেকে অনেকটাই বেশি। এদিকে এই করোনার প্রকোপে চিনের উইঘুর মুসলিমদের পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।
আরও পড়ুন: গুজব বলেছিল পুলিস, মৃত্যু হল করোনাভাইরাস প্রথম সনাক্তকারী চিনা ডাক্তারের
সরকারি মতে উইঘুরঅধ্যুষিত ঝিনজিয়াং প্রদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২হাজার। কিন্তু অনেকের মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি। ওই অঞ্চলে রয়েছে চিনের ডিটেনশন ক্যাম্প। যাতে আটকের সংখ্যা ৩০ লক্ষেরও বেশি। সে জায়গাগুলির কোনও খবরাখবর বাইরে পৌঁছয় না। সেই ক্যাম্পগুলিতে করোনা সংক্রমণ হলে কী হবে তা নিয়ে রীতিমতো বাড়ছে উদ্বেগ।
অন্যদিকে চিনের পর এবার নতুন করে কপালে ভাঁজ জাপানেরও। সে দেশে ভিড়েছে ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামে একটি জাহাজ। ৩, ৭০০ যাত্রী ছিল সে জাহাজে। তারমধ্যে একচল্লিশ জন করোনা আক্রান্ত বলে ধরা পড়েছে। ফলে জাপানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছিয়াশি। সংখ্যার নিরিখে যা চিনের পরেই।