The Urine Revolution: মানুষের প্রস্রাবই কি শেষমেশ রক্ষা করবে বিপন্ন বিশ্বকে?
মানুষের প্রস্রাবকে সারে রূপান্তর করা হলে তা শুধু জৈব সার হিসেবেই কাজ করবে না, কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক সারের ফলে যে পরিবেশ দূষণ হয়, তা-ও রোধ করবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন: মানুষের প্রস্রাবকে সার হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব? ফ্রান্সের এক শীর্ষ গবেষণা বলছে, কৃষিক্ষেত্র বাঁচাতে প্রস্রাবের গুরুত্বের জুড়ি নেই! ফ্রান্সের ওই গবেষণা বলছে, মানুষের প্রস্রাব উদ্ভিদকে পুষ্টি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ফলে কৃত্রিম সারের ব্যবহার কমানোই যেতে পারে। মানুষের প্রস্রাবকে সারে রূপান্তরিত করা হলে তা জৈব সার হিসেবে কাজ করে। অন্য দিকে, কৃষি উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক সারের ফলে যে পরিবেশ দূষণ হয়, তা রোধ করে।
উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হল নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম। খাবারের মাধ্যমে আমাদের পাকস্থলীতে এগুলি পৌঁছয় এবং আমাদের মূত্রের মাধ্যমে তা শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
ফুড সিস্টেম এবং হিউম্যান ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের উপর গবেষণা করে জানা গিয়েছে, কারখানায় তৈরি সার সিনথেটিক নাইট্রোজেন থেকে উৎপন্ন হয়। এই সার কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন এগুলি বেশি পরিমাণে ব্যবহারের কারণে নদী ও অন্যান্য জল দূষিত হয়। প্রাণীদের জীবনও বিপন্ন হয়।
তা হলে কি প্রস্রাবেই মুক্তি?
এটা একটা বিকল্প পথ খুলে দিতে পারে। তবে মানুষের প্রস্রাব কৃষিক্ষেত্রে কতটা ব্যবহার করা যেতে পারে, সেই প্রশ্নটা থাকছেই। মানুষের প্রস্রাবকে কৃষিতে ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যেতে পারে বলেই মত বিজ্ঞানীদের।
প্রসঙ্গত, একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সুইডেনে বিভিন্ন বাড়িতে প্রায় ১০ হাজার বিশেষ ধরনের টয়লেট বাড়িতে স্থাপন করা হয়েছে যেখানে প্রস্রাব আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
আরও পডুন: Lunar Water Source: পৃথিবী থেকে জল যাচ্ছে চাঁদে! চাঁদ শুষে নিচ্ছে মর্ত্যের জল?