প্রেসিডেন্টের অপসারণের পরেও ইউক্রেনে রাজনৈতিক সঙ্কট অব্যাহত

ইউক্রেনে রাজনৈতিক সঙ্কট অব্যাহত। নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন পার্লামেন্টের সদস্যরা। কিন্তু, এই সরকারের নেতৃত্ব কে দেবেন তা স্পষ্ট নয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, লড়াই এখনও শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী নেত্রী ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কো। কিয়েভের ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কোয়ারে এখনও জমায়েত চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা।

Updated By: Feb 23, 2014, 09:27 PM IST

ইউক্রেনে রাজনৈতিক সঙ্কট অব্যাহত। নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন পার্লামেন্টের সদস্যরা। কিন্তু, এই সরকারের নেতৃত্ব কে দেবেন তা স্পষ্ট নয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, লড়াই এখনও শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী নেত্রী ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কো। কিয়েভের ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কোয়ারে এখনও জমায়েত চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা।

রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে চলে গেছেন ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। তবে, কোথায় আছেন তিনি, তা স্পষ্ট নয়। সরকারের দাবি, ইয়ানুকোভিচ গেছেন দেশের পূর্বাঞ্চলে খারকিভ শহরে।
যদিও, অন্য সূত্রের খবর, বিমানে দেশ ছাড়তে গিয়ে বাধা পান তিনি। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পার্লামেন্ট তাঁর অপসারণের সিদ্ধান্ত নিলেও তা বেআইনি বলে দাবি করেছেন ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। গোটা বিষয়টিকে অভ্যুত্থান বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রেসিডেন্টের অপসারণের পাশাপাশি পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিরোধী নেত্রী ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কো। স্বাগত জানিয়েছে আমেরিকা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। জমায়েত চালিয়ে যাওয়ার কথা বলে টাইমোশেঙ্কো বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের কুর্সিই এখন তাঁর লক্ষ্য। তবে, টাইমোশেঙ্কোর বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে, তাঁর সেই ইচ্ছার পথে বাধা হতে পারেন বিরোধী গোষ্ঠীর অন্য নেতারাই।

২৫ মে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট। তার আগে নতুন মন্ত্রিসভা, প্রাইম মিনিস্টারের নাম চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় শুক্রবারই বিরোধীদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠনে চুক্তি সই করেছিলেন ইয়ানুকোভিচ। সেই চুক্তির ভবিষ্যত কী হবে?

চুক্তিতে যে বিরোধী নেতারা সই করেছিলেন, নেতৃত্বের প্রশ্নে তাঁদের সঙ্গে ইউলিয়া টাইমোশেঙ্কোর সম্পর্কই বা কেমন দাঁড়াবে ? এই ধরনের নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ইউক্রেনের রাজনীতিতে। সঙ্কট নিরসনে সব পক্ষকে নিয়ে দ্রুত নতুন সরকার গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছে ওয়াশিংটন।রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে কথাও বলেছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। এ সবের মধ্যেই ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারা কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না।

Tags:
.