UK: টানা ১৫ বছর ছুটিতে থেকেই বেতন পাচ্ছেন! তবুও কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা...
UK's Ian Clifford IBM Employee: ছুটিতে আছেন, তবুও ৬৫ বছর বয়সে অবসরের আগে পর্যন্ত একটি দিনের জন্যও অফিসে না গিয়ে বছরের শেষে ৫৪ হাজার পাউন্ড বেতন পাবেন। কিন্তু তবুও আশ মিটল না তাঁর। ঠুকে দিলেন কোম্পানির নামে মামলা। কী রায় বেরল সেই মামলার?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একে কি লোভ বলা চলে? নাকি অকৃতজ্ঞতা? যে-কোম্পানি বিপদে দীর্ঘদিন ধরে পাশে দাঁড়িয়ে, সেই কোম্পানির বিরুদ্ধেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মামলা! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও তেমনই ঘটেছে। ব্রিটেনের ঘটনা।
এক ব্যক্তি ১৫ বছর ধরে ছুটিতে। কারণ শারীরিক অসুস্থতা। প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী পাচ্ছিলেন বেতন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। তাঁর অভিযোগ, এই ১৫ বছরে তাঁর বেতন একদমই বাড়ানো হয়নি। শেষমেশ বিষয়টি সুরাহা করতে আদালতের দ্বারস্থও হলেন তিনি!
আরও পড়ুন; G20 Meeting: জি২০ কেন কাশ্মীরে, প্রশ্ন তুলে ভারতের কাছে ভর্ৎসিত রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক...
এহেন গুণধরটির নাম ইয়ান ক্লিফোর্ড। তাঁর বাড়ি ব্রিটেনের গিলফোর্ড শহরে। চাকরি করেন বিখ্যাত প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠান আইবিএমে। ২০০৮ সালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আরোগ্যের জন্য ছুটি নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি, যাতে তিনি কাজে যোগ দিতে পারেন। তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ইয়ান ক্লিফোর্ডের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছয় আইবিএম। চুক্তিটি যথেষ্ট মানবিক ও প্রশংসাযোগ্য।
আরও পড়ুন; উপগ্রহের স্কোরিংয়ে বৃহস্পতিকে টপকে সৌরজগতে 'ফার্স্টবয়' এখন শনিই...
চুক্তিটি করা হয় প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পরিকল্পনার আওতায়। সে চুক্তিতে বলা হয়, ক্লিফোর্ডকে কোনও ভাবেই চাকরিচ্যুত করা যাবে না। ছুটিতে থাকাকালীন কোনও কাজ তিনি না করলেও প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবেই গণ্য হবেন তিনি। তবে তাঁর বেতনের ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। এবং সেই মোতাবেক আজ, এই ২০২৩ সাল পর্যন্ত একইরকম চলছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এখনও ছুটিতেই আছেন তিনি।
প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ হিসেবে আইবিএমে ক্লিফোর্ডের বেতন ছিল বছরে ৭২ হাজার পাউন্ড। চুক্তি মেনে কাটছাঁটের পর বেতন দাঁড়ায় ৫৪ হাজার পাউন্ডে। ৬৫ বছর বয়সে অবসরের আগে পর্যন্ত প্রতিবছর এই বেতন পেয়ে যাবেন তিনি। এবং সেই হিসেবে যথারীতি নিয়ম করে বেতন পেয়েও আসছিলেন তিনি।
কিন্তু বিপত্তি বাধল এর মাঝেই। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি নিয়ে সটান শ্রম আদালতে চলে যান ক্লিফোর্ড। যদিও তিনি তাঁর বয়ানে উল্লেখ করেছেন, তিনি মোটেই লোভী নন, তবে তাঁর অভিযোগ, মূল্যবৃদ্ধির কারণে ওই বেতনে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। কিন্তু কোম্পানির তরফে তাঁর বেতন বাড়ানো হয়নি। এতে তিনি নিজেকে বঞ্চনার শিকার বলে মনে করছেন। আদালতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত হতাশই হতে হয়েছে ক্লিফোর্ডকে। কেননা আদালত তাঁর অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে। বিচারক বলেছেন, অভিযোগকারীকে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে যে অর্থ দেওয়া হচ্ছে, সেটির ফলেই তিনি যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁকে মোটেই বঞ্চিত বলা চলে না!