সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকালই মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সিরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছে মার্কিন রণতরীও। মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি একাধিক রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। তবে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের খুটিনাটি তথ্য সংগ্রহের ওপরেই জোর দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Updated By: Aug 25, 2013, 09:16 AM IST

সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকালই মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সিরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছে মার্কিন রণতরীও। মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি একাধিক রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। তবে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের খুটিনাটি তথ্য সংগ্রহের ওপরেই জোর দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।  
রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় ১৩০০ মানুষের মৃত্যুর পর থেকে ক্রমশ ঘোরালো হচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি। আড়াই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে এমনিতেই ক্ষতবিক্ষত সিরিয়া। তারওপর আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিষ গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহলে সিরিয়াকে আরও কোণঠাসা করে তুলেছে। বুধবারই এক সাক্ষাত্কারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন মারণ গ্যাসের ব্যবহারের বিষয়টি যথেষ্ট বড় ঘটনা এবং খুবই উদ্বেগজনক। সিরিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে ইতিমধ্যেই বেশকয়েকটি পদক্ষেপ করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শনিবার দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন। ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব চাক হেগেল। সিরিয়ার বিরুদ্ধে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার সবটাই খতিয়ে দেখছে পেন্টাগন। সিরিয়ার দিকে এগোতে শুরু করেছে মার্কিন রণতরী। মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের পাশাপাশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আরব লিগ ছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছেন। সিরিয়ায় রওনা দেওয়ার লক্ষ্যে মার্কিন নৌসেনাদের তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সিরিয়া প্রশ্নে প্রথম থেকেই দ্বিধাবিভক্ত বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি। এপ্রিলের মতো এবারের হামলার পরেও আসাদ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া।
বুধবারের হামলার নেপথ্যে আসাদ সরকার বিরোধী গোষ্ঠীদের থাকার প্রমাণ মিলেছে বলেই দাবি করেছে রাশিয়া। ফলে সিরিয়ায় ঠিক কী ধরনের হামলা হয়েছিল তা জানতেই তত্পর মার্কিন প্রশাসন। সেইসব তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হামলার দিন তিনেক পর সক্রিয় হয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে তারা বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের নির্দেশে দামাস্কাস পৌঁছেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান অ্যাঞ্জেলা কেন। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওবামা প্রশাসন।

.