খাবার দেওয়া হচ্ছে না হিন্দু-খ্রিস্টানদের, এসব বরদাস্ত নয়! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি আমেরিকার

করাচিতে সায়লানি ওয়েলফেয়ার নামে একটি বেসরকারি সংস্থা হিন্দু ও খ্রিস্টানদের খাবার দিতে অস্বীকার করে।

Updated By: Apr 14, 2020, 07:42 PM IST
খাবার দেওয়া হচ্ছে না হিন্দু-খ্রিস্টানদের, এসব বরদাস্ত নয়! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি আমেরিকার

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের জেরে বিশ্বের সব দেশেই দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। খাদ্য সংকটে পড়েছেন বিশ্বের অগণিত মানুষ। এই সময় ধর্ম বা জাতিগত বিদ্বেষের নয়। তাই পাকিস্তানে হিন্দু ও খ্রিষ্টানদের  খাদ্য দিতে না চাওয়ার খবর সামনে আসতেই পাকিস্তানকে সতর্ক করল মার্কিন সরকারি সংস্থা। ইসলামাবাদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা জানিয়েছে, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে হবে।

আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংস্থার কমিশনার অণুরিমা ভার্গভ সোমবার বলেন, "কোভিড-১৯ দ্রুত সংক্রামিত হচ্ছে। পাকিস্তানে প্রত্যেকে নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখার জন্য অনাহারের সঙ্গে লড়ছে। কারোও ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য এভাবে তাঁকে খাদ্য সাহায্য থেকে বাদ দেওয়া যায় না। খবর মিলেছে পাকিস্তানে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের খাদ্য সাহায্য দিতে অস্বীকার করা হয়েছে। এসব একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।" তিনি জানান, " হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান সকলের মধ্যে যাতে সমানভাবে খাদ্য বিনিময় করা হয়, পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গে সে বিষয়ে কথা বলা হয়েছে।"

অভিযোগ, করাচিতে সায়লানি ওয়েলফেয়ার নামে একটি বেসরকারি সংস্থা হিন্দু ও খ্রিস্টানদের খাবার দিতে অস্বীকার করে। তাদের বক্তব্য, খাবার শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত। এভাবে খাবার নিয়ে ধর্ম ভিত্তিক বৈষম্য পাকিস্তানে যেন আর না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক করল আমেরিকা। সংস্থার আরেক কমিশনার জন মুরি বলেন, "ইমরান খান একজন উন্নয়নশীল দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অনাহার এবং করোনা দুইয়ের সঙ্গেই লড়াই চালাচ্ছেন। তিনি লড়াইয়ের রাস্তা দেখাচ্ছেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সংখ্যালঘুরা যেন অবহেলিত না হয়।"

আরও পড়ুন, আক্রান্ত ৫ লক্ষেরও বেশি, মৃত ২৩ হাজার, তবুও আংশিক লকডাউন তোলার পরিকল্পনায় ট্রাম্প প্রশাসন 

.