সৌর জগতের গ্রহাণু সেরাসের বুকে মিলল জলের উপস্থিতি, উসকে দিল পৃথিবীর বাইরে প্রাণের উপস্থিতির সম্ভাবনা
আমাদের সৌর জগতের বৃহত্তম গ্রহানু এবং ক্ষুদ্রতম বেঁটে গ্রহ সেরাস-এ বরফের আগ্নেয়গিরি বা বরফের দাগ থেকে জলের নির্গমন চিহ্ন পাওয়া গেল। জলের উপস্থিতি নতুন করে উসকে দিল সেই পুরনো প্রশ্নটাকেই। এই সুবিশাল সৌরজগতে পৃথিবীর প্রাণের জগত কি সত্যিই একা নাকি সেরাসের বুকে নিঃশ্বাস নেয় অন্য কোনও প্রাণ?
আমাদের সৌর জগতের বৃহত্তম গ্রহানু এবং ক্ষুদ্রতম বেঁটে গ্রহ সেরাস-এ বরফের আগ্নেয়গিরি বা বরফের দাগ থেকে জলের নির্গমন চিহ্ন পাওয়া গেল। জলের উপস্থিতি নতুন করে উসকে দিল সেই পুরনো প্রশ্নটাকেই। এই সুবিশাল সৌরজগতে পৃথিবীর প্রাণের জগত কি সত্যিই একা নাকি সেরাসের বুকে নিঃশ্বাস নেয় অন্য কোনও প্রাণ?
সূর্য থেকে ৪১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেরাস নিয়ে বহু প্রাচীন কাল থেকেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে চরম উৎসাহ ছিল।
সেরাসের বুকে জলের উপস্থিতি এক লাফে এই গ্রহাণুকে সৌর জগতের এলিট ক্লাবে নিয়ে গেল। বৃস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা এবং শনির উপগ্রহ এনসেলাডাস-এ বরফের জমির উপর জলের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে আগে অনুমান করেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। জলের উপস্থিতি সেখানে প্রাণের সম্ভাবনার দিকেও ইঙ্গিত দেয়। এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল সেরাস-এর নামও।
`ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি` (ইএসএ) -এর মহাকাশ বিজ্ঞানী মাইকেল কুপেরস জানিয়েছেন সেরাস-এর বুকে জলের চিহ্ন তাঁদের অবাক করেছে।
২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইএসএ-এর বিজ্ঞানীরা সেরাস-এর উপর নজর রেখে দেখেছেন, সেরাসের দুই মেরু থেকে প্রতি সেকেণ্ডে ৬কিলোগ্রাম জল মহাশূন্যে নির্গত হয়।
তবে নাসার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন পৃথিবী নয় সেরাস-এর আবহাওয়া অনেকটা ধূমকেতুর মত সেরাস-এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কম বলেই বরফের আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত জল মহাশূন্যে মুক্তি পায়। তবে সেরাসে কম ক্ষমতার উষ্ণ প্রস্রবণ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তাঁরা।