বাংলাদেশে শ্রমিক ধর্মঘট সারাদিন বন্ধ থাকল নৌ চলাচল

মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে থমকে গেল বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জলপথ।

Updated By: Jul 25, 2019, 01:50 PM IST
বাংলাদেশে শ্রমিক ধর্মঘট সারাদিন বন্ধ থাকল নৌ চলাচল

নিজস্ব প্রতিবেদন : বেতন বৃদ্ধি ও তোলাবাজি বন্ধ-সহ একাধিক অভিযোগে বুধবার নৌ ধর্মঘট পালন করল বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। এর জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে থমকে গেল সারা বাংলাদেশের জলপথ।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ভটভটি ও অন্যান্য ছোট জলযানে কর্মরত শ্রমিকরা। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, "আমারা বহু দিন ধরে ১১ দফা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও আমাদের পাশে দাঁড়াননি মালিক পক্ষ"। বেতন বাড়ানোর দাবিতে চলতি বছর এপ্রিলে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল শ্রমিক ও কর্মচারীরা। সেই সময়ে ৪৫ দিনের মধ্যে দাবিদাওয়া পূরণের আশ্বাস দেয় লঞ্চ মালিকদের সংগঠন। শ্রমিক পক্ষের দাবি, এর পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ৯০ দিন। কিন্তু কোনও দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি। এই কারণেই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। 

আরও পড়ুন : মার্কিন মুলুকে 'বিস্ফোরক' ইমরান খান, স্বীকার করলেন দেশের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপের কথা

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান বলেন, "২০১৬ সালে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে লঞ্চমালিকদের সঙ্গে নৌযান কর্তৃপক্ষের পাঁচ বছরের একটি চুক্তি হয়"। চুক্তির মেয়াদ শেষ না হতেই অযৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে ঝামেলা করা হচ্ছে, দাবি তাঁর।

এদিনের ধর্মঘটে বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। মালবহনকারী লঞ্চগুলি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের শিকার হন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি নৌপথে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে, বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, "যাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হল। তবে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।"

.