স্বাগত ২০১২
বদলে গেল ক্যালেন্ডার। আবার একটি নতুন বছর। জীর্ণ, পুরাতনকে পিছনে নতুন সংকল্প নিয়ে ফের পথ চলার শুরু। ২০১১-কে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাতভর উত্সবের আমেজ গায়ে মাখল গোটা বিশ্ব।
বদলে গেল ক্যালেন্ডার। আবার একটি নতুন বছর। জীর্ণ, পুরাতনকে পিছনে নতুন সংকল্প নিয়ে ফের পথ চলার শুরু। ২০১১-কে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাতভর উত্সবের আমেজ গায়ে মাখল গোটা বিশ্ব।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। মস্কো থেকে শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। আনন্দ উত্সবে পিছিয়ে নেই কেউই। আলোর রোশনাই , নাচ-গান আর আতসবাজির খেলায় নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন বিশ্ববাসী।
২০১২ সালে প্রথম পা রাখল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হয় অকল্যান্ডে। আলোর মালায় ভেসে যায় অকল্যান্ড বন্দরের স্কাই টাওয়ার ।
নতুন বছরকে স্বাগত জানানোয় পিছিয়ে ছিলেন না অস্ট্রেলিয়াবাসীও। আলোর মালায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল সিডনির হারবার ব্রিজ, অপেরা হাউস।
অন্য দিকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মাঝেই সুনামিতে মৃত মানুষজনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উত্সবের আনন্দে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকং-এর নাগরিকদের উত্সাহও ছিল চোখে পড়ার মত।
দুবাইয়ের মানুষের কাছে বর্ষবরণের আনন্দের প্রধান উপকরণ ছিল আতসবাজির রোশনাই। আতসবাজি প্রদর্শিত হয় পৃথিবীর সবথেকে উঁচু বাড়ি বুর্জ খলিফা থেকে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে আতসবাজির খেলা।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর রেড স্কোয়ারেও হাজির ছিলেন বহু মানুষ। বরফ মোড়া রাস্তায় বারবিকিউ আর পানীয়র উষ্ণতায় স্বাগত জানানো হয় আগামীকে।
বর্ষবরণের এই বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না ভারতও। উল্লাস, আনন্দ আর উচ্ছাসের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন দেশবাসী।
রাত বারোটা বাজার অধীর অপেক্ষা। .... তবে ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছোঁয়ার অনেক আগে থেকেই আনন্দ, উচ্ছ্বাসে ভেসেছে গোটা দেশ। রাজধানী দিল্লি থেকে বাণিজ্য রাজধানী মুম্বই, বা সাইবার সিটি হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, বর্ষবরণের রাতের ছবিটা যেন ছিল এক। আতসবাজির রোশনাই। উদ্দাম নাচ, গান। প্রবল উত্সাহে বর্ষবরণ উদযাপনে গা ভাসিয়েছে জেনারেশন ওয়াই।
বলিউডি তারকাদের সেলিব্রেশন ছিল বেশ নজরকাড়া। ২০১১-র শেষ রাতের অনুষ্ঠানে মঞ্চে দেখা গেছে বলিউড সুন্দরী নেহা ধুপিয়া, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, তনুশ্রী দত্ত, মল্লিকা শেরাওয়াতদের।
তবে শুধু দেশের প্রধান শহরই নয় প্রবল ঠান্ডাকে কার্যত উপেক্ষা করে বর্ষবরণে সামিল ছিল জম্মু কাশ্মীরও। ২০১২-কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দোত্সবে মেতেছিল উত্তর-পূর্বের মিজোরাম। এভাবেই বর্ষবরণের উত্সবে মাতোয়ারা ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম।