দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা, গুলির থেকে বেঁচে যাওয়া হিটলারের পোষা কুমীর মারা গেল

আমেরিকায় জন্ম হয়েছিল স্যাটার্ন—এর। এর পর ১৯৩৬ সালে বার্লিন চিড়িয়াখানাকে সেটি উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছিল।

Updated By: May 24, 2020, 05:13 PM IST
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা, গুলির থেকে বেঁচে যাওয়া হিটলারের পোষা কুমীর মারা গেল

নিজস্ব প্রতিবেদন— দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্লিনে ব্যাপক বোমাবাজিতেও এই কুমীর মরেনি। কিন্তু এবার রাশিয়ার মস্কোর একটি চিড়িয়াখানায় সেটির মৃত্যু হল। লোকে বলে, এটি নাত্জী নেতা অ্যাডলফ হিটলারের পোষা কুমীর ছিল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এটির নাম দিয়েছিল স্যাটার্ন। মিসিসিপি কুমীরটির বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। রবিবার সকালে স্যাটার্ন বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গিয়েছে বলে জানায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। 

আমেরিকায় জন্ম হয়েছিল স্যাটার্ন—এর। এর পর ১৯৩৬ সালে বার্লিন চিড়িয়াখানাকে সেটি উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৪৩ সালে সেই চিড়িয়াখানার উপর ব্যাপক বোমাবাজি হয়েছিল। চিড়িয়াখানার বাকি পশু—পাখি মারা গেলেও বেঁচে যায় স্যাটার্ন। ব্রিটিশ আর্মির জওয়ানরা স্যাটার্নকে খুঁজে পায় প্রায় তিন বছর পর। এর পর স্যাটার্নকে আপন করে নেয় মস্কোর চিড়িয়াখানা। গোটা চিড়িয়াখানা যখন ব্যাপক বোমাবাজিতে তছনছ হয়ে গিয়েছিল, তখন স্যাটার্ন কী করে বাঁচল! এই ঘটনাটিকে রহস্য হয়েই থেকে গেল। মস্কো চিড়িয়াকানায় হিটলারের পোষা এই কুমীরটিকে দেখতে ব্যাপক ভিড় জমত। মস্কো চিড়িয়াখানায় যখন নিয়ে যাওয়া হয় তখন স্যাটার্নের বয়স ছিল ১০ বছর। অর্থাত্ গত ৭৪ বছর ধরে সেখানেই ছিল স্যাটার্ন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর চলে যাওয়ায় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের মন খারাপ।

আরও পড়ুন— একদিকে তছনছ করে গেল আমফান, অন্যদিকে এবার তাণ্ডব শুরু করল ম্যাঙ্গা

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে ব্যক্তি স্যাটার্নের পরিচর্যা করত তাঁকে ভালভাবে চিনত সে। রাগ হলে স্টিলের চামচ বা কংক্রিটের দেওয়াল ভেঙে দেওয়ার মতো শক্তি ছিল এটির। মিসিসিপি কুমীর সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ বছর বাঁচে। কিন্তু স্যাটার্ন ছিল বিরল। সার্বিয়ার বেলগ্রেড চিড়িয়াখানায় আরেকটি কুমীর রয়েছে যাঁর বয়স ৮০ বছর। স্যাটার্ন তার থেকেও বয়সে বড় ছিল। মস্কোর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্বীকার করে না যে স্যাটার্ন হিটলারের পোষা কুমীর ছিল।

.