নারীর অর্ধেক আকাশের দাবিতে, একদিন নয় প্রতিদিন লড়াই হোক মানুষের

৮ মার্চ। বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে  নারী দিবস।  মানুষ হিসেবে একজন নারী পরিপূর্ণ অধিকারের দাবিতে সুদীর্ঘকাল যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তারই সম্মানস্বরূপ পালিত হচ্ছে নারী দিবস। অন্তত একটা দিন গোটা বিশ্ব আলাদা করে মনে করে নারীরাই এই জগতের শক্তির উত্‍স আর প্রেরণা। যদিও, আলাদা করে বছরের একটা বিশেষ দিনে নারী দিবস পালন করা নিয়ে নানা কথা হয়। নিন্দুকরা নাক সিঁটকে বলেন, সবটাই বাড়াবাড়ি। কিন্তু যারা এ কথাটা বলেন তারা নিশ্চয় ইতিহাসের পাতাটা ভাল করে উল্টে দেখেননি। তাই বিশেষ করে তাঁদের জন্য আর সকলের জন্য থাকল নারী দিবসের ইতিহাস নিয়ে ছেঁড়া একটা পাতা।

Updated By: Mar 8, 2015, 12:24 PM IST
নারীর অর্ধেক আকাশের দাবিতে, একদিন নয় প্রতিদিন লড়াই হোক মানুষের

ওয়েব ডেস্ক: ৮ মার্চ। বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে  নারী দিবস।  মানুষ হিসেবে একজন নারী পরিপূর্ণ অধিকারের দাবিতে সুদীর্ঘকাল যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তারই সম্মানস্বরূপ পালিত হচ্ছে নারী দিবস। অন্তত একটা দিন গোটা বিশ্ব আলাদা করে মনে করে নারীরাই এই জগতের শক্তির উত্‍স আর প্রেরণা। যদিও, আলাদা করে বছরের একটা বিশেষ দিনে নারী দিবস পালন করা নিয়ে নানা কথা হয়। নিন্দুকরা নাক সিঁটকে বলেন, সবটাই বাড়াবাড়ি। কিন্তু যারা এ কথাটা বলেন তারা নিশ্চয় ইতিহাসের পাতাটা ভাল করে উল্টে দেখেননি। তাই বিশেষ করে তাঁদের জন্য আর সকলের জন্য থাকল নারী দিবসের ইতিহাস নিয়ে ছেঁড়া একটা পাতা।

সামাজিক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন ধারায় দেখা যায়, নারী কোনও অংশেই পুরুষের পিছনে ছিল না। ফ্রান্সের প্যারি কমিউন, ফরাসি বিপ্লব, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক আন্দোলনসহ ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে পুরুষের পাশেই নারীকে দেখা যায়। কিন্তু, কাঙ্ক্ষিত দাবি নারী সমাজ অর্জন করতে পারেনি। কর্মক্ষেত্রে নারীর মজুরি পুরুষের চেয়ে কম। আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের ২০০৯-এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বে পুরুষের চেয়ে নারী ১৬ ভাগ পারিশ্রমিক কম পায়। অপর এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে নারীরা কাজ করছে শতকরা ৬৫ ভাগ।

আজও ভারতবর্ষে নারীর সম্মান থাকে ঘোমটা, বোরখা অথবা পরিধানেই বেঁচে থাকে। রাতে ঘরের বাইরে মেয়েদের স্বাধীনতা মেনে নেয়না 'শিক্ষিত' মানুষ। নারীর ধর্ষণের জন্য সমাজ এখনও দায়ী করে পোশাককেই।  দেশের রক্ষার জন্য ৪ টি সন্তান প্রসবের নিদান দিয়ে, নারীকে কেবলই 'সন্তান প্রসবের যন্ত্র' বলে ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্র।     

অমুকের মেয়ে, তমুকের বউ, ওর মা, তাঁর বোন-এই পরিচয় থেকে বেরিয়ে এসে নারী সত্ত্বার জয় জয় কার। ভারতের ইতিহাসে যে নারীরা অনন্য, যারা আমাদের পথ প্রদর্শক তারা সবসময়ই তথাকথিত প্রথা ভেঙেছেন। গড়েছেন নতুন নিয়ম।

.