২৪ ঘণ্টার খবরের জের: শিবপুরে শাসকদলের চোখরাঙানি এড়িয়ে গ্রেফতার ২
হাওড়ার শিবপুরে তৃণমূলের ফেস্টুন খুলতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পরেও প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ধরতে উদ্যোগ নেয়নি পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পড়েই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় শাসকদলের এক কর্মী ও এক সমর্থককে । মঙ্গলবার তৃণমূলের ব্যানার, পোস্টার খুলতে গিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন সরকারি কর্মী সৌমেন আচার্য। খুলে নেওয়া হয় ক্যামেরার চিপ।
হাওড়ার শিবপুরে তৃণমূলের ফেস্টুন খুলতে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের পরেও প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের ধরতে উদ্যোগ নেয়নি পুলিস। চব্বিশ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচারের পড়েই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় শাসকদলের এক কর্মী ও এক সমর্থককে । মঙ্গলবার তৃণমূলের ব্যানার, পোস্টার খুলতে গিয়ে তৃণমূল নেতা কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন সরকারি কর্মী সৌমেন আচার্য। খুলে নেওয়া হয় ক্যামেরার চিপ। সৌমেন আচার্য-র অভিযোগের ভিত্তিতেই শিবপুর থানায় এফআইআর করেন হাওড়ার মহকুমাশাসক অর্থাত্ অ্যাডিশনাল রিটার্নিং অফিসার বাণীপ্রসাদ দাস।অথচ অভিযোগে কারোর নাম দেওয়া হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ শাসকদলের চাপে পড়েই নাম দিতে পারেনি প্রশাসন।
মঙ্গলবার রাতেই এফআইআর করেছিলেন হাওড়ার মহকুমাশাসক।অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা,দিনভর কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ হয়েই ছিল পুলিস। গোটা ঘটনার ফুটেজ দেখা গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে। তারপরেও পুলিস অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে ভিডিও ফুটেজের সাহায্য নেয়নি। এর আগে এধরনের বহু ঘটনার ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে নেওয়া ভিডিও ফুটেজ দেখেই দোষীদের সনাক্ত করেছে পুলিস। এখানেও ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জির পি এ ইন্দ্রনীল চ্যাটার্জি, পুরসভার মেয়র পারিষদ বিনোদানন্দ ব্যানার্জি, পুরপিতা বিশ্বনাথ দাস, তৃণমূল কর্মী বিকাশ রায় ঘটনাস্থলে ছিলেন। পুরসভার মেয়র পারিষদ ছাড়া বাকিরা হেনস্থায় সক্রিয়ভাবে অংশও নিয়েছিলেন। এমনকী একসময়ের কুখ্যাত সমাজবিরোধী কালো সোনাও হেনস্থার সময় ছিল । তাসত্ত্বেও নির্বিকার পুলিস। পুলিসের এই ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রার্থী জর্জ বেকার।
নিজের দলের নেতা কর্মীদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। চব্বিশ ঘণ্টায় এই খবর সম্প্রচার হতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাতের দিকে একজন তৃণমূল কর্মী ও এক সমর্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিস।