অধ্যাপিকা নিগ্রহে অভিযুক্ত আরাবুল ইসলাম, একযোগে রুখে দাঁড়ালেন শিক্ষকরা
ফের বিতর্কে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে ভাঙড় কলেজের এক অধ্যাপিকাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, কলেজের অধ্যাপিকা দেবযানী দে-কে জলের জগ ছুঁড়ে মারেন তিনি। অধ্যাপিকাদের নিগৃহীত হতে দেখে অধ্যাপকরা বাধা দিতে এলে ওই তৃণমূল নেতা তাঁদেরও অকথ্য গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ।
ভাঙড় কলেজে অধ্যাপিকাকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ওই কলেজে ওয়েবকুটার জেনারেল বডির নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হয়। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ওই কলেজের গর্ভর্নিং বডির সভাপতি। কলেজের শিক্ষিকাদের অভিযোগ, তাঁর পছন্দ মতো পাঁচ শিক্ষিকাকে জেনারেল বডিতে পাঠাতে হবে বলে দাবি করেন আরাবুল ইসলাম। রাজি না-হওয়ায় অধ্যাপিকা দেবযানী দে-কে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই অধ্যাপিকাকে লক্ষ্য করে বোতল ছুড়ে মারারও অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনার জেরেই বুধবার ফের কলেজ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকেরা। পরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হস্তক্ষেপে ঘেরাও তুলে নেন তৃণমূল সমর্থকরা। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও কলেজের ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হন। তবে ভাঙড় থানার পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, এঘটনায় আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।
ওদিকে ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওয়েবকুটা। সংগঠনের পক্ষ থেকে অধ্যাপিকা নিগ্রহের নিন্দা করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়েছে। এই মর্মে স্মারকলিপি জমা দিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়েছে তারা।