গুড়িয়ার মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় প্রশাসন, তদন্তে নামল পুলিস
হুগলির খেজুরদহে মানসিক ভারসাম্যহীন গুড়িয়ার মৃত্যুর খবর ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও নারী উন্নয়ন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। এই পৈশাচিক ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব রাজনৈতিক মহলও।
হুগলির খেজুরদহে মানসিক ভারসাম্যহীন গুড়িয়ার মৃত্যুর খবর ২৪ ঘণ্টায় সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও নারী উন্নয়ন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। এই পৈশাচিক ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব রাজনৈতিক মহলও। খেজুরদহের হোমের মানসিক ভারসাম্যহীন আবাসিকের রহস্য মৃত্যুর পর তাঁর দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল হোমের ভিতরেই। সন্ধেয় সাবিত্রী মিত্র যান ঘটনাস্থলে। সেখানে হোমের সুপারের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান মন্ত্রী। ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য।
গুড়িয়ার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় খুন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাকে সামনে রেখেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ২৪ ঘণ্টায় খবর সম্প্রচার হওয়ার পরই হুগলির খেজুরদহের ওই হোমে যান এসপিসহ পুলিস কর্তারা। এসপি জানান, গর্ত থেকে তোলা গুড়িয়ার দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। গুড়িয়ার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে চুঁচুড়া হাসপাতালে। সেখানে ময়নাতদন্তের উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকলে দেহ আনা হবে এসএসকেএমে। ধনেখালির খেজুরদহে দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমে গুড়িয়ার মৃতদেহ সবার অগোচরে গর্ত খুঁড়ে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এই ভাবে দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে? সেই সন্দেহকে আরও জোরালো করে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
রাতেই গ্রেফতার করা হয় হোমের সেক্রেটারিকে। হোমের সেক্রেটারি ছাড়াও সানি এবং রঞ্জিত নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। সানি হোমের গাড়ি চালায়। আর রঞ্জিতকে দেড়শ টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয়েছিল। এছাড়া অন্যতম অভিযুক্ত শ্যামল এবং তনুময় নামে এক যুবককেও খুঁজছে পুলিস। অভইযোগ শ্যামল গুড়িয়াকে মারধর করত। কে এই শ্যামল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন হোমের এক আবাসিককে মারধর করার পরও তাকে কিছু বলা হল না? কেনই বা এতবড় ঘটনার পরেও সে ধরাছোঁয়ার বাইরে?
হোমের এক আবাসিক চব্বিশ ঘণ্টার কাছে অভিযোগ করেছিলেন, ২৬ তারিখ গুড়িয়াকে মারধর করেছিল শ্যামল। এখন তাঁর দাবি দোষীরা শাস্তি পাক। অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিনা লাইসেন্সেই চালানো হচ্ছিল দুলাল স্মৃতি সংসদ হোমটি। ২০১১ সালে হোমটির প্রভিশনাল লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। গত ২৬ জুন হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের আর্জি জমা পড়লেও, প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে না পারায় লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।